
ছবি সংগৃহীত
জেনে রাখুন বাচ্চাদের ত্বকের সমস্যা সম্পর্কে
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:৩৭
আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:৩৭
আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:৩৭
(প্রিয়.কম) - শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। কীভাবে সেই সমস্যা গুলোর মোকাবেলা করবেন? জেনে রাখুন কিছু পরামর্শ।
ইনফ্যানটাইল সেবোরিক ডার্মাটাইসিস
ছোট বাচ্চাদের বিশেষ করে যাদের বয়স ১ বছরেরেও কম তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি করে হয়ে থাকে। প্রায় ১০-১২% বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। লক্ষণ- ১। বাচ্চাদের মাথায় খুব খুশকি হয়। ২। গলায়, বগলে, থাইয়ের ভাঁজে, হিপের আশেপাশে লাল লাল দাগ হয়, চামড়া উঠতে শুরু করে ও মাঝেমধ্যে রস বের হয়। ৩। চোখের পাতায় বা চোখের পলকে স্কেলস হতে পারে। চিকিৎসা ১। নিয়মিত নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল বাচ্চার চুলে লাগান। ২ থেকে ৩ মাস মাথায় তেল লাগানো প্রয়োজন। ২। কিটোকঞ্জাল বা জিল জিঙ্ক পাইরেথিওন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার বাচ্চার চুল পরিষ্কার করুণ। ২-৩ মাস এই ট্রিটমেন্ট চালাতে হবে। ৩। যেহেতু ইরিটেশন হায় তাই বাচ্চারা প্রায়ই এই জায়গাগুলোতে চুলকয়ে ফেলে, ফলে ছাল উঠে যাওয়া স্বাভাবিক। এই সমস্ত জায়গায় হাইড্রোকর্টিজন বা ক্লোবিটাজন জাতীয় ক্রিন দিনে দুবার ৫ থেকে ৭ দিন লাগালে বাচ্চা আরাম পাবে। তবে পুরোপুরি ঠিক হবার জন্য এরপর আরও ৫ থেকে ৭ দিন, দিনে অন্তত ১ বার ক্রিম লাগানো জরুরি। ৪। বাচ্চার সারা গায়ে ভাল করে তেল লাগান। নারকেল তেল, অলিভ ওয়েল বা আমন্ড ওয়েল দিয়ে ভাল করে ম্যাসেজ করুন। বাচ্চার জন্য লিকুইড সোপ সবচেয়ে ভাল। ডিটারজেন্ট ফ্রি সাবান ব্যবহার করতে পারেন। যে সাবানের পিএইচ লেভেল বাচ্চার পিএইচ লেভেলের সমান, সেরকম সাবান বাচ্চার ত্বকের জন্য উপযোগী।অ্যাটপিক প্রবলেম
শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক অনেক সময় অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তার সাথে এগজিমার মতো সমস্যাও হতে পারে। বারবার হাঁচি দিতে পারে, যাকে বলে অ্যালার্জিক রাইনইটিস। পরিবারে কারও যদি এজমা বা এগজিমা থাকে তাহলে তা বাড়ির বাচ্চাদের মধ্যেও জেনেটিকাল ট্রান্সমিটেড হতে পারে। আর এই সমস্ত সমস্যা শীত কালে বেড়ে যেতে পারে।কী করবেন
১। বাচ্চাকে নিয়মিত নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল দিয়ে ম্যাসেজ করুণ। মশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। হোয়াইট স্ফট প্যারাফিন বা ফস্পলিপিড সমৃদ্ধ মশ্চারাইজার বাচ্চার ত্বকের জন্য উপকারী। ২। নিয়মিত বাচ্চাকে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করাবেন। খেয়াল রাখবেন পানির তাপমাত্রা যেন ৩৭ ডিগ্রির বেশি না হয়। ৫ মিনিটের বেশী গোসল করাবেন না। এতে ত্বকের কর্নিয়াল লেইয়ার ফুলে গিয়ে ইরিটেশন হতে পারে। ৩। বাচ্চার সারা গায়ে যদি প্রচন্ড চুলকানি হয়, এন্টি-এলার্জিক হাইড্রক্সিজিন বা সেট্রিজিন জাতীয় ওষুধ বাচ্চাকে কয়েক সপ্তাহ খাওয়ান।বাচ্চার ত্বকের বিশেষ যত্ন
১। বাচ্চাকে সরষের তেল মাখাবেন না। সরষের তেল থেকে ইরিটেশন হতে পারে। সরষের তেল মেখে বাচ্চাকে রোদে রাখার যেই প্রচলিত রীতি আছে তা একেবারেই অনুচিত। এতে ত্বকের পিগমেন্টেশন বেড়ে যায় এবং বাচ্চা কালো হয়ে যায়। ২। বাচ্চার ব্যবহারের সাবান এবং শ্যাম্পু সমন্ধে সচেতন থকুন। দুমদাম বিজ্ঞাপন দেখে বাচ্চার জিনিস কিনবেন না। যে সমস্ত সাবান বা শ্যাম্পু কোয়ালিটি কন্ট্রলের মাধ্যমে পরীক্ষিত, সেই সমস্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করুন। তথ্যঃ সানন্দা, ডাঃ সন্দীপন ধর
৩০ মিনিট আগে
৩২ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ৩৩ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ৪১ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ৪০ মিনিট আগে
২০ ঘণ্টা, ৪৭ মিনিট আগে
২০ ঘণ্টা, ৫৮ মিনিট আগে
২২ ঘণ্টা, ৩৫ মিনিট আগে
www.ajkerpatrika.com
| খানসামা
২২ ঘণ্টা, ৩৭ মিনিট আগে