ছবি সংগৃহীত

জীবনে সুখ ধরে রাখতে চাইলে যে ৬ টি বাধা অতিক্রম করতে হবে সকলেরই

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:১৭
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:১৭

আমরা সকলেই চাই আমাদের জীবনটা কোন নাটকের গল্পের মত ‘চিরস্থায়ী সুখী’ হোক। কোন কারণে সুখ আমাদের হাতে ধরা দিলে আমরা তা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই। মনে মনে ভাবি এমনভাবেই যদি সারাজীবন সুখ পাওয়া যেত। কিন্তু এর পরে যখন জীবনে কোনোভাবে দুঃখের ছায়া নেমে আসে তবে আমরা মনের অজান্তেই ভেঙে পড়ি। আর এই ভেঙে পড়ার কারনেই আমরা পরবর্তীতে সুখের আগমন ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারি না। সুতরাং সুখের দেখা আমরা আমাদের নিজেদের কারনেই পাই না।

আমরা জানি যে জীবন সুখ এবং দুঃখের মিশ্রণেই হয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় মেনে নিতে পারি না এই চিরন্তন সত্যটি। সুখ ফেলে আপন করতে থাকি দুঃখগুলোকে। ফলে আমরা আমাদের চারপাশে নিজেরাই তৈরি করি একের পর এক বাধার দেয়াল। যতদিন পর্যন্ত এই বাধা অতিক্রম না করতে পারব ততদিন পর্যন্ত সুখের পথে বাধা হয়ে থাকবো আমরা নিজেরাই। চলুন দেখে নেই সেইসব বাঁধাগুলোকে যেগুলো ভাঙতে পারলে জীবনে ধরে রাখতে পারব সুখ।

আত্মবিশ্বাস হীনতা

যখন জীবনে কোন দুঃখ আসে তখন আমরা অনেকেই ভেঙে পড়ি। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। কোন একটি কাজ করতে চাইলে নিজেকেই আত্মবিশ্বাসী হিসেবে পাই না। কিন্তু নিজেকে ব্যর্থ ভাবতে থাকলে, জীবনে কোন ভালো কিছু ঘটার আশা হারিয়ে ফেললে ব্যর্থতাই আঁকড়ে ধরে আমাদের। সুখী হওয়া যায় না। একবার কোন কাজে ব্যর্থ হলে কিংবা আশাহত হলে আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসীভাবে তৈরি করে নিতে হবে পরবর্তী কাজের জন্য।

নিজেকে দোষী ভাবা

অনেকেই আছেন নিজের অজান্তে কিংবা ভুলবশত কোন ভুল করে থাকলে এই ঘটনার জন্য নিজেকে দোষী ভাবতে থাকেন পুরোটা জীবন। এতে করে জীবন থেকে চলে যায় সুখ। মনে ভর করে অশান্তি। মনে রাখতে হবে, যা হয়ে গেছে তা ফিরে পাওয়া যাবে না কোনোভাবেই। যদি শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকে তবে শুধরে ফেলুন ভুল। আর কিছুই না করার থাকলে ভুলে যান ঘটনাটি। চলে যেতে দিন জীবন থেকে এই ভুলটি।

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা সবচাইতে বেশি বোকামি। পৃথিবীতে কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, হতেও পারে না। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে মনে মনে নিজেকে ছোট ভেবে পিছু হটে থাকলে জীবনে সুখ আসে না কখনোই। অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনের তুলনা করা ছেড়ে দিন। আপনি যেমন আছেন তেমনই আপনার জন্য ভালো এবং আপনি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন এই বিশ্বাস মনে ধরে রাখুন। সুখী হবেন।

অন্য একজনমানুষকে নিজের সুখের কারণ ভাবা

অনেকেই নিজের সুখ অন্যের মাঝে খুঁজে নেন। নিজেকে আরেকজনের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে সুখী করেন। এই কাজটি অনেক বড় একটি ভুল। এতে করে আপনি অন্য একজন মানুষকে অবলম্বন করে নিজের সুখের জন্য নির্ভরশীল থাকেন। কোন কারণে আপনার অবলম্বন হারিয়ে গেলে আপনার জীবন থেকেও হারিয়ে যাবে সুখ। এই কাজটি কখনোই করবেন না। আপনার সুখ শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকবে অন্য কারো ওপর নয়।

নিজেকে সম্মান দিতে না পারা

অনেকেই নিজেকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন না। কোন একটা কাজে ব্যর্থ হলেই নিজেকে সারাজীবনের জন্য ব্যর্থ ভাবা শুরু করেন। এতে করে নিজেকে সুখ থেকে বঞ্চিত করা ছাড়া আপনি কিছুই করছেন না। মনে রাখবেন আপনি নিজেই যদি নিজেকে সম্মান করতে না পারেন অন্য কেউ আপনাকে সম্মান দেবেন না। নিজেকে নিজের প্রাপ্য সম্মান দিন। জীবনে সুখ আসবে।

সব সময় ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থাকা

প্রবাদে আছে ‘ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ’। কিন্তু বর্তমানে সব সময় আপনি যদি ভবিষ্যতের কথা ভাবতে থাকেন তবে আপনি নিজেকে বর্তমানের সকল ধরণের সুখ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন। ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, কিন্তু এইটাও ভাবতে হবে আপনি কতোদিন বাঁচবেন তা আপনি জানেন না। কেউ জানেন না। তাহলে কেন সব সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানের ছোট ছোট সুখগুলোকে বিসর্জন দিচ্ছেন? ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, তবে বর্তমানের সুখকে বিসর্জন দিয়ে নয়।