ছবি সংগৃহীত

জাপানের ইতিহাসে ভয়ংকর ৫টি অতৃপ্ত আত্মার সত্যিকারের কাহিনী!

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০১৪, ১৮:০৬
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০১৪, ১৮:০৬

(প্রিয়.কম) আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন? কিংবা প্রেতাত্মায়? অনেকেই বলবেন না, আবার অনেকেই বলবেন যে বিশ্বাস করেন। এমন অনেকেই আছেন যারা মুখে বলে থাকেন বিশ্বাস করেন না কিন্তু মনে কিছু খটকা রয়েই যায়। কারণ কিছু অসংজ্ঞায়িত ঘটনা রয়েছে যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই। কিন্তু এইসকল ভূত প্রেতের কাহিনী কতোটা সত্যি? সত্যিকার অর্থেই কি অতৃপ্ত প্রেতাত্মার দেখা মেলে? জাপানের কিছু ঘটনা কিন্তু কিছুটা সেরকমই। জাপানের লোককথায় হাজারো অতৃপ্ত আত্মার বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু আজকে যে ৫টি অতৃপ্ত আত্মার কথা বলতে যাচ্ছি যা শুধুমাত্র লোককথাতেই নয় বরং সেখানের শহুরে মানুষের মুখে মুখে থাকে। এই ৫টি ভয়ানক আত্মাকে বলা হয় জাপানের ইতিহাসে সত্যিকার অতৃপ্ত আত্মা।

ওকিকু পুতুল

এই ওকিকু পুতুলটি আসলে একটি জাপানের পুতুল যা জাপানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিতা। এবং এই পুতুলটির মালিক ছিলেন ওকিকু নামের একটি ছোট্ট মেয়ে। ছোট্ট মেয়েটি অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় মারা যাওয়ার পর সকলের ধারণা হয় মেয়েটির আত্মা সেই পুতুলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। সকলের এই ধারণার মূলে রয়েছে পুতুলটির চুল। কারণ মেয়েটি মারা যাওয়ার সময় পুতুলটির চুল ছোট ছিল। কিন্তু বর্তমানে পুতুলটির চুল অনেক বড়। যেভাবে ছোট্ট একটি মেয়ের চুল বাড়তে থাকে ঠিক সেভাবেই প্রতিনিয়ত বেড়েছে পুতুলটির চুল যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনি। পুতুলটি বর্তমানে ‘মানেঞ্জি’ মন্দিরে রয়েছে।

কুচিসাকে ওন্না

এই নামের অর্থ হচ্ছে ‘ওমান উইথ স্প্লিট মাউথ’/ মুখ কাটা যে নারীর। জানা মতে, এই নারীকে গভীর রাতে একলা চলতি পথে দেখা যায়। তার পরনে থাকে ট্রেঞ্চ কোট এবং মুখ ঢাকা থাকে সার্জিকাল মাস্কে। একলা কাউকে পেলে হুট করে সামনে এসে জিজ্ঞেস করে, ‘আমি কি দেখতে সুন্দর?’ যদি উত্তর না হয় তবে সে কাচি দিয়ে মাথা কেটে ফেলে। আর যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তবে সে তার সার্জিকাল মাস্কটি সরিয়ে তার এক কান থেকে অন্য কান পর্যন্ত কাটা মুখ দেখিয়ে বলবে, ‘এখন?’ আপনার উত্তর না হলে মরতে হবে এবং উত্তর হ্যাঁ হলে তার নিজের মতো কাটা দাগ সে পথিকের মুখে তৈরি করে দিয়ে যাবে।

হিতোবাশিরা

হিতোবাশিরার ইংরেজি অর্থ ‘হিউম্যান পিলারস’ অর্থাৎ মানুষের স্তম্ভ। জাপানে অনেক আগে মনে করা হতো কোনো ব্রিজ, বিল্ডিং তৈরির সময় পিলারে মানুষ ব্যবহার করলে তা মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর সে কারনেই তারা পিলারের ভেতরে জ্যান্ত মানুষ পুঁতে ফেলতো। তাদের ধারনা ছিল এভাবে মানুষ পিলারে গেঁথে উৎসর্গ করলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হবেন এবং তাদের বিল্ডিং মজবুত হবে। এভাবে যতো কিছু তৈরি করা হয়েছিল তার প্রত্যেকটিতে প্রেতাত্মার দেখা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়।

দ্য গার্ল ফ্রম দ্য গ্যাপ

দ্য গার্ল ফ্রম দ্য গ্যাপ একটি অতৃপ্ত আত্মা যাকে ঘরের আসবাবপত্রের ফাঁকে দেখতে পাওয়া যায় হঠাৎ করেই। যদি কারো সাথে তার চোখাচোখি হয়ে যায় তবে সে সম্মোহন করে তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘আমার সাথে লুকোচুরি খেলবে?’ এবং এভাবেই সে খেলার ছলে টেনে নিয়ে যায় অন্য কোনো স্থানে যেখানে যাওয়া এবং ফিরে আসা একেবারেই সম্ভব নয় মানুষের পক্ষে।

টিক টিক

‘টিক টিক টিক’ শুধুমাত্র হাতের ওপর ভর দিয়ে চলাচলের সময় যে আওয়াজ হয় তার সাথে নামকরণ করা হয়েছে এই অতৃপ্ত আত্মাটির। লোকমুখে জানা যায় এই আত্মাটি একজন সুন্দরী মেয়ের যিনি রেলগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন (অথবা দুর্ভাগ্যবশত রেলগাড়ির সামনে পড়ে যান)। এতে করে পুরোপুরি মাঝ বরাবর দুটুকরো হয়ে যান তিনি। এরপর প্রায়ই তাকে দেখা যায় নিজের অর্ধেক শরীর নিয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে একলা পথে চলা মানুষের সামনে চলে আসতে। এবং সে নিজের অবস্থাতেই পরিণত করেন পথিকটিকেও।