
ছবি সংগৃহীত
কোন স্বপ্ন দেখলে কী হয়?
আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫, ০২:৩৮
মানুষ ঘুমিয়ে থেকে এমন অনেক কিছু দেখে, যা জাগ্রত অবস্থায় দেখে না। এটাকে খাব বা স্বপ্ন বলা হয়। স্বপ্নে মানুষের রুহ ঊর্ধ্বজগৎ ও নিুজগতে ভ্রমণ করে এবং জাগ্রত অবস্থায় যা দেখা যায় না তা দেখতে থাকে। এটাকে বলা হয় আত্মিক অনুভূতি। স্বপ্নে এমন সব অবস্থা সামনে আসে, যা স্বপ্নদর্শনকারীকে বিস্ময়াভিভূত করে। কোরান-হাদিসের বিভিন্ন স্থানে স্বপ্নের কথা উল্লেখ আছে। এসব থেকে জানা যায় স্বপ্ন একটি বাস্তব বিষয়। তবে নবীদের স্বপ্ন ছাড়া অন্যদের স্বপ্ন শরিয়তের প্রামাণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, সুস্বপ্ন নবুওয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আরেক হাদিসে তিনি বলেন, শেষ রাতের স্বপ্ন অধিক সত্য হয়ে থাকে; কেননা এ সময় মন-মস্তিষ্ক স্থির ও চিন্তামুক্ত থাকে; মানসিক স্থিরতা অর্জন হয়। তাছাড়া ফেরেশতাদের অবতীর্ণ হওয়ার, সৌভাগ্য এবং দোয়া কবুল হওয়ার সময়ও এটি। এ জন্যই এ সময় দেখা স্বপ্ন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সত্য হয়ে থাকে। কোনো স্বপ্নের ব্যাপারেই দৃঢ়ভাবে বলা যাবে না এটা সত্য, তবে রাসুলকে (সা.) দেখলে তা অবশ্যই সত্য। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে প্রকৃতপক্ষে আমাকেই দেখল, কেননা শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।’ শয়তান রাসুলের পবিত্র শরীরের আকৃতি শয়তান ধারণ করতে পারে না। তবে যারা সৌভাগ্যবান ও আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী, তারাই কেবল স্বপ্নে রাসুলের (সা.) দেখা পান। আমরা ঘুমের মধ্যে যা কিছু দেখি সবই ভালো ও সত্য স্বপ্ন নয়, এর বেশিরভাগই শয়তানের প্রবঞ্চনা। ভালো স্বপ্ন দেখাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বলে মনে করা উচিত। যে স্বপ্ন মানুষের মন-মস্তিষ্ককে প্রকৃতভাবেই আনন্দের দোলা দেয় অথবা ভালো লাগার আবেশ মিশিয়ে দেয় তা-ই সত্য ও ভালো স্বপ্ন বলে বিবেচনা করা যায়। স্বপ্নের কথা যে কারো কাছে না বলাই উত্তম। যিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানেন তার কাছে স্বপ্নের কথা বলা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, স্বপ্নের চূড়ান্ত কোনো ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেন না। ভালো স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা এবং খারাপ স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ঘুমের পদ্ধতিও স্বপ্নের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এ জন্য সুন্নতি পদ্ধতিতে ঘুমানো উচিত। জহির উদ্দিন বাবর