
ছবি সংগৃহীত
আন্দোলন নিয়ে আজকের সোশ্যাল মিডিয়া
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ০৭:৫০
Saydujjaman Shamim:
80–20 rule: The law of the vital few, and the principle of factor sparsity - কারো যদি মনে হয় ২০% লোক সত্যি protest করছে তবে মনে করতে হবে শাহবাগের event সফল হবে । দুনিয়ার ইতিহাসে যত সফল আন্দোলন হয়েছে তার সবগুলোই মুষ্টিমেয় কিছু সক্রিয় লোকে execute করছে আর সবাই সমর্থন দিয়েছে ।
Be Focused: এক গাদা সমস্যানিয়ে কাজ করলে শেষ পর্যন্ত কোনটারই সমাধান হয় না বরং সমস্যা আরও বাড়ে , তাই শাহবাগের শুধুমাত্র একটা বড় ইস্যু নিয়ে কথা বলাটা আমি সমর্থন করি ।
Get Things Done: আমার Objective achieve করতে যদি মনে করি , সাথে অন্য কেও লাভবান হতে পারে তাই আমার Objective achieve করবোনা , তবে আমার আর বেড়ে উঠা হবে না ...
Bondona Kabir:
ব্রেকিং নিউজ - মন্ত্রীসভা সরকার পক্ষের আপীলের সুযোগ এবং ৪৫ দিনের মামলা নিষ্পত্তির বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে ।
তার মানে?
হতাশ হবার কোনোই কারন নেই।
চাওয়ার মত করে চাইলে নাকি ঈশ্বরও পাওয়া যায়।
আর এ তো সামান্যই চাওয়া :D
জয় বাংলা...
শেখর সিরাজ:
প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্র নিয়েও, তাই ক্ষমতাসীন আওমীলিগ সরকারের ফাটকাবাজি ধুরন্ধর রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন না গিয়ে
আওমীলিগ সরকারের উচিত হবে শুধু যুদ্ধাপরাধী আইনি প্রক্রিয়া নয় সাথে অসাম্প্রদায়িক জাতি-গঠনে সংবিধানের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলোর সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া।
এই মহত্তম সংশোধনীর উদ্যোগেই এখন আওমীমিলিগকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে যেতে পারে । ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটের নির্বাচনের দিন হয়ে এসেছে।
আওমীমিলিগ প্রধান নেতারা নিশ্চয় তা বুঝতে পেরেছেন। আগামী দিনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চরিত্র কেমন হবে। তা প্রজন্ম চত্বর থেকে নির্ধারিত হয়ে গেছে।
শেষ সময়ে এসে ঘোলা জলে মাছ শিকার না করে, ক্ষমতাসীন আওমীলিগ সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ স্বচ্ছতার সাথে দিতে হবে। এতে করে
আওমীলিগ সরকারের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও জনগণের কাছে দুই টাকা মুল্যের মলমের মত শান্তনার নিয়ামক হতে পারে।
Arif Jebtik:
লাকী আক্তারের ঘটনা, ইটিভি, ছাগুপেজ সমুহ ও আমার প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঘটনা হইল আমার ৪ বছরের মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ায়
আমি শাহবাগ ছেড়ে বের হই ৭টার দিকে। আমার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে মোবাইল চার্জে লাগিয়ে মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমি আর শাহবাগে ফিরে যাইনি। মোবাইল বন্ধ থাকায় আমি শাহবাগের কোনো খবরও এই সময় পাচ্ছিলাম না। যাই হোক, ইটিভিতে যাওয়ার জন্য আমি ফোন নিয়ে বের হই রাত সাড়ে ১১টায়। ফোন অন করতেই দেখি কয়েকটা মেসেজ এসেছে যে লাকী আক্তার আহত হয়েছেন।
আমি সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজনকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাই। বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না হয় তাই আমি লাকী আক্তারের সংগঠনের একজন বড় নেতাকেও ফোন করি। তিনি আমাকে জানান যে তোফায়েল আহমেদকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় লাকীকে কেউ একজন অথবা একাধিক লোক পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। লাকী গত ৬ দিন ধরে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে প্রজন্ম স্কয়ারে আছেন, তিনি এমনিতেই অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, তবে তিনি সুস্থ আছেন এবং একটু পরেই ফিরবেন। আমি জানতে চাই, এই বিষয়ে কি লাকী অভিযোগ আনবেন? তখন সে নেতা আমাকে বলেন, 'প্রশ্নই উঠে না। এসব ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে আন্দোলনে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি করা যাবে না।'
যাই হোক, ইটিভি রাত ১২টায় সরাসরি সম্প্রচারে আমাকে এক দর্শক এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি বলি যে ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না, তাই আমি বলতে পারছি না। তবে এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে টানা ৬ দিন সবাই নাওয়া খাওয়া ভুলে রাস্তায় পড়ে আছে, লাখো লাখো লোকের সমাবেশ চলছে শৃংখলার মধ্যে। এর মধ্যে যদি ছোট একটা বা দুইটা ঘটনা ঘটে সেটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার হবে।
কিন্তু এর পরে কয়েকটি ফোনেই দেখলাম কিছু 'অত্যুৎসাহী' দর্শক এই ব্যাপারে খুবই আগ্রহী হয়ে পড়লেন। এক দর্শক বললেন, 'আপনি কেন বলছেন না যে ছাত্রলীগের অমুক নেতা এই হামলা করেছে?' আমি বললাম, 'আমি তো আগেই বলেছি যে আমি এইমাত্র ফোনে খবর নিয়ে জেনেছি যে লাকী সুস্থ আছেন।' আরেকজন বললেন,' লাকী আক্তারের ঘটনারই কোনো বিচার আপনারা করতে পারছেন না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কীভাবে করবেন? ছাত্রলীগকে কি আপনি ভয় পান?' আমি তখন বললাম, 'লাকী আক্তার তো নিজে অভিযোগ করছেন না, আপনার এত আগ্রহ কেন? লাকী আক্তার যদি অভিযোগ করেন কারো বিরুদ্ধে, তাহলে অবশ্যই সেটার বিচার হবে।' ব্যস, কাহিনী এতটুকুই।
কিন্তু এখন দেখছি যে ফেসবুকে কয়েকটা চিহ্নিত ছাগুগ্রুপ বলছে, আমি নাকি টিভিতে বলেছি ছাত্রলীগের অমুক নেতা মেরেছে, আমি দেখেছি ( বা এইটাইপের কিছু কথা।)
আমি মনে করি আন্দোলনকে দুর্বল করতে ছাগুরা এই ছিদ্র দিয়ে এখন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। লাকী আক্তার আন্দোলনের অন্যতম আইকন, তার উপর তিনি নারী। সুতরাং তাকে নিয়ে হাল্লাগোল্লা করলে লাভ হয়। এইটার মধ্যে আমাকে জড়াতে পারলে হয় সোনায় সোহাগা। এক ঢিলে কয়েকটা পাখি মারা যায়। কিন্তু ছয় ছয়টা দিন যারা একসঙ্গে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে যেসব তরুণ তরুণি মাঠে আছে, ৬ দিনের সেই ক্লান্তিকে হিসেবে এনে কথা বলুন।
দয়াকরে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। লাকী আক্তার সুস্থ আছেন, উদ্দীপ্ত আছেন এবং শাহবাগের মাঠেই ফিরে গিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, '..কে বা কারা আমার মাথায় আঘাত করেছে তা আমি চিনতে পারি নাই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। জামায়াত চায় আন্দোলন শেষ করতে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিভ্রান্তি সৃষ্ঠিকারী রাজাকারদের থেকে সতর্ক থাকুন। গুজবে কান দেবেন না প্লিজ। ছাগুদের পেজগুলোকে লাথি মারেন। এই লেখাটি দয়াকরে শেয়ার করে অন্যদেরকে সতর্ক করে দিন।
Supriti Dhar:
...এইদেশে একসময় হিন্দুদের ছেড়ে যাওয়া সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি নাম দেওয়া হয়েছিল। ভাবখানা এমন যে, হিন্দুরা এখানে শত্রু ছিল। আজ সময় এসেছে আসল শত্রু-মিত্র চিনে নেওয়ার। জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি অবিলম্বে তাদের যাবতীয় সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ ঘোষণা করা হোক। এদের সম্পত্তি যদি ‘শত্রু’ না হয়, তবে আবারও ভুল হয়ে যাবে ইতিহাস গঠনে.....
Rohan Uddin Fahad:
ভাই লাকী রে নাকি লীগে মাথা ফাটায় দিছে, জানেন নাকি কিছু? // ঐ তুই তো অনলাইনে অনেক চিল্লাস, দেখ আন্দোলন কই যাইতাছে // ছাত্রলীগই হইলো আসল ছাগু, অগ্নিকন্যার উপরে হামলা ভাবা যায় // আরে ওরা বিশ্বজিৎরে কোপাইলো, লাকি কোন ছাড়....
আমার ফেসবুকে সংযোজিত বন্ধু, কলিগ, বড়ভাই, ছোটো ভাই, বড়বোন, ছোটোবোন সহ আরও অনেক ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার যারা লাকি আক্তার কে নিয়ে কয়েক মিনিটের মাঝে এতো আগ্রহী হয়ে গেলেন, আজ সকালে নেটে বসে তাদের সবার প্রফাইলে আগ্রহ নিয়ে ঘুরাঘুরি করে এলাম...
অর্ধেকের বেশী মানুষের গত সাত দিন ধরে এই যে এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো শেয়ার দেখলাম না... ইয়ে মানে আপনারা কি অপেক্ষায় ছিলেন কখন আন্দোলনে উদ্দ্যোক্তা পর্যায়ে একটা ঝামেলা হবে আর আপনারা এত্তো এত্তো ইস্যু এড়িয়ে গেলেও এই ইস্যুতে আগ্রহী হয়ে যাবেন???
দু জনের প্রফাইলে এমন এক ছাগু পেজের ছবি শেয়ার করা যেই পেজে মাত্র দু দিন আগেই এই লাকীকে নিয়ে জঘন্যতম সব উক্তি করা হয়েছিলো...এই ছাগু পেইজগুলোতে নিয়মিত নানা প্রপাগান্ডা শেয়ার করা হয়, কোথাও আপনারা কোনো প্রতিবাদে যান নাই... তার মানে কি আপনারা এইসব সত্যি বলে মেনে নিছেন?
সব থেকে কষ্টের কথা হলো যেখানে দেশের খুব সাধারণ মানুষেরাও যে যেভাবে পারছে সেভাবে মানুষের মাঝে একাত্তরের নৃশংসতম এই গনহত্যা নিয়ে আগ্রহ আর জানার পরিধী বাড়াবার চেষ্টা করছে, সেখানে ছাত্রলীগ কেনো লাকীকে মারলো সেটা নিয়ে আপনাদের এতো চিন্তা ভাবনার আনন্দিত হলাম।
এখন যুদ্ধের সময় এন্ড লেন্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড...সেই লেন্জা বাম হোক কিংবা ডান... আলবিদা এবং ধন্যবাদ...
Bondona Kabir:
কয়েকটি তরুনের সাথে আলাপ করে মনটা একটু খারাপই হয়ে গেলো।
ওরা কিছুটা হতাশ ।
ধারনা করছে বা দেখছে, আস্তে আস্তে সেই কুতসিৎ রাজনীতিবিদ্দের হাতেই এই মহাযজ্ঞের নিয়ন্ত্রন চলে যাচ্ছে !!
আমি অতোটা হতাশ এখনো নই, কারন মনে করছি,
এখনো সবাই উদ্যমী । প্রত্যয়িও বটে ।
কিন্তু সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে এবং
কর্তা ব্যাক্তিদের কাছ থেকে গঠনমুলক সে রকম কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে বেশ একটু দূর্ভাবনা হচ্ছে ।
আশা ধরে বসে আছি
তারুন্যের জয় জয়কার হবে
জনতার জয় হবে - হবেই...
Masuda Bhatti:
বন্ধুরা কাল রাতে আগুনমুখা মেয়ে লাকিকে আক্রমন করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে, লাকি নিজেই তা অস্বিকার করেছেন, আজ গোলাম মাউলা রনি নাকি বলেছে কাদের মোল্লা নাকি মুক্তিযোদ্ধা, ফরিদপুরের আওয়ামীলীগ নেতা নুরুন্নবীর সঙ্গে নাকি মোল্লায় যুদ্ধ করছে, এই মাত্র কথা হলো নুরুন্নবী পরিবারের সঙ্গে, সম্পূর্ণ ভুয়া এই তথ্য. রনি আজ অতি বিপ্লবী সাজছে, ভং ধরে বিভ্রান্ত করতে চাইছে আমাদের. আসুন প্রতিগ্গা করি এই সাব ভং-চং এ যেন আমরা না ভুলি. জয় বাংলা.
Sheriff Al Sire
ক্লান্ত লাকী আবারও মঞ্চে ফিরে এলো। এসেই বলল, কেউ একজন আমাকে আঘাত করেছে। দেখিনি সেটা কে। তাকে খুজা হচ্ছে। বলেই আবারও সেই স্লোগান, জাগো রে জাগো আগুন জাগো...
Faruk Wasif
একজন লাকি আক্তারই আপনাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে পারে এবং পেরেছে। আন্দোলন কত ধান্ধার ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে তার একটা লিস্টি (মনে মনে) করা যায়।
Tokon Thaakoor
আমার মা কিডনি ওপারেশনের পর এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির-এর কেবিন ছেড়ে বাসায় আসলেও চেক-আপ করাতে ওখানে তাকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ১৯ তারিখ আবার চেকাপ ডেট।
আজ সকাল সাড়ে আটটায় মা আর আমি শাহবাগ গেলাম। শাহবাগ মোড় যথারীতি ননস্টপ উত্তাল। মা বলল, 'রাজাকাররা কী করছে যুদ্ধের সময়, তুই তো দেখিসনি... রাজাকার সব জানোয়ার। যাক, রাজাকারের বিচার এবার দেখতে পাব, এটাই সুখ।'
৪ ঘণ্টা শাহবাগের তারুণ্যের স্রোতে মাকে নিয়ে মিশে ছিলাম। এই মাত্র মা'কে বাসায় রেখে আবার যাচ্ছি। এখন হাজার হাজার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এসে যোগ দিচ্ছে রাজাকার-জামায়াত শিবিরের বিচার দাবির শাহবাগ-মোহনায়, রাজপথে। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারের বাচ্চা জামায়াত-শিবির থাকবে এবং তাদের বেহেস্তের লোভ দেখানো ভণ্ড কার্যকলাপ চালাবে, সেই দিন শেষ। মাইকে শাহবাগের বাতাসে দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে স্বাধীনতার শ্লোগান। শ্লোগানে লিড ভোকাল মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে মা বলল, 'ওই কি লাকি আক্তার?'
ইয়েস। লাকির কণ্ঠে এখন সমগ্র বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এই সাউন্ড, এই ভিজুয়ালাইজেশন বাংলার মানুষ মনে রাখবে। রাজাকার, শ্যেনদৃষ্টির জামায়াত-শিবির, তোমাদের 'দাওয়াতি' দিন শেষ। এখ্খনি ফের শাহবাগ যাব, শাহবাগেই আছি, শাহবাগেই থাকব।
জয় বাংলা।
Babu Ahmed
এই আন্দোলনের যদি সত্যিকার অর্থেই কোন নেতা থাকেন তিনি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। আমরা তার অসম্পুর্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্যেই আজ রাজপথে নেমেছি। আমরা সবাই শহীদ রুমীর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবেই নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।
Razia Akhi
ore bangali,,suru hoye gelo 2013 shaler ekattor..
PriTom AhmEd
ব্যক্তি করে ষড়যন্ত্র আর গোষ্ঠী করে সংগ্রাম। ষড়যন্ত্রকারী খুব সাবধানে শাহবাগ এসো বাবা। সমুদ্রে বাধ দিতে চেওনা, সে বিরূপ হলে তোমাকে গিলে খাবে। তুমি বালুকণা হয়ে ডুবে যাবে। :)
ঊষা গোধুলি
গণজাগরণের মঞ্চে বিরামহীন স্লোগান দিয়ে যাওয়া প্রসাধন বর্জিত সেই তেজি মেয়েটি আমি নই ।বিদ্রোহের কবিতা আবৃত্তি করা কিংবা সংগ্রামের সঙ্গীত গাওয়া মেয়েটি আমি নই ।আমি সাধারণ একটা মেয়ে, গিয়েছিলাম ইতিহাসের অংশ হতে।আমি আমার পরবর্তী প্রজন্ম কে গর্ব ভরে বলতে পারব , এদেশের তরুণ রা একদিন জেগেছিল , সেই জেগে ওঠার দলে আমিও ছিলাম ।
সারা বাংলায় কোনো বিচার আছে ???????
আছে ...............................
কোন সে বিচার ?????????????
ফাঁসি ..............................
আরো জোরে ...................
ফাঁসি ............................
ফাঁসির দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না ।
একাত্তরের শত্রুদের বলছি , আমরা এখন অগ্নিকুন্ড ..... হাত দিবিনা ......পুরে মরবি ।
Rifat Onty
Matro koyekjon Manush Dekhsilam prothom din.............. Dhire dhire chokher shamne shob kichu paltay gelo.................. Amara chaile shob pari.... Shob.... Joy MANUSH... Joy BANGLA!!!!
Anisul Hoque
I urge everybody to be patient, non-violent, law-abiding, united, disciplined, peaceful. Peaceful protest will bring us success.
Sirajul Hossain:
গোলাম আযম শিগগিরই আলোচনায় আসবেন। ছদ্মছাগুদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাজে লাগবে এই গ্রাফিক্সের তথ্যগুলি।
Sadman Sadek:
১. যে যুদ্ধ আমরা শুরু করেছি, চালিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও চলবে তার কথা লেখা থাকবে ইতিহাসের বইয়ের পাতায়, ফেসবুকের পাতায় নয়। এই আন্দোলন গণমানুষের নিমিত্তে গণ মানুষেরই আন্দোলন , তাই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হিসেবে নিজেদের ভাবতে পারেন অনেকেই। লাইকস্লাট, হিটখোর হন সমস্যা নেই, কিন্তু আন্দোলনের অন্যতম সংঘটক বা উদ্যোক্তা হিসেবে মিথ্যে পরিচয়ে আন্দোলনের ক্ষতির চেষ্টা জনগণ মেনে নেবেনা কোনো ভাবেই।
আপনারা বোধহয় ইতিমধ্যেই জেনে থাকবেন এদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এক দৈনিকে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের অন্যতম সংঘঠক হিসেবে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে আন্দোলন বানচাল করতে ঘোষণা দিয়েছিলো, আমরা নাকি আন্দোলন থামিয়ে দেবো, ছুটির দিন ব্যতীত আন্দোলন হবে না, শাহবাগ ছেড়ে দেবো এসব। পুরো জাতি যখন শাহবাগের দিকে তাকিয়ে এই একই গ্রুপ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কাছাকাছি নামে ইভেন্ট তৈরী করে শাহবাগের পরিবর্তে প্রেসক্লাবে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন দুই ভাগ করতে চেয়েছিলো, তৃতীয় দিন তারা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল শহীদ মিনার, আর মহাসমাবেশের দিন এই একই ব্যক্তিরা ট্রাকের উপর বানানো অস্থায়ী মঞ্চের পেছনে ঠোঙ্গা ছুঁড়াছুঁড়ি করেছিলো। এই পর্যন্ত এই গ্রুপকে কখনো আন্দোলনে সক্রিয় দেখা না গেলেও, টকশো-আর টিভিতে আন্দোলনের আয়োজক হিসেবে তাদের উপস্থিতির কমতি দেখা যায়নি ।
তাই ফেসবুকে স্বাধীনতা ঘোষণার বিতর্কের মত হলুদ হ্যাডব্যান্ড ছাড়া (অমি পিয়াল, আরিফ জেবতিক ব্যতীত - তারা প্রথম থেকেই আছেন আমাদের সাথে) যারা ইতিমধ্যে নিজেদের অন্যতম আয়োজক হিসেবে দাবী করছেন তাদের প্রতি ক্ষোভ নেই, করুণায় হয় মাত্র। কারণ অনলাইনে ছাগুরা দীর্ঘদিন প্রচারণা চালালেও আজ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর প্রমাণ করে দেখেয়িছে মানুষ সব সময় বেছে নেয় সত্যকেই। তাই এসব ষড়যন্ত্রকারীদেরও এই প্রজন্ম ক্ষমা করবেনা।
২. প্রজন্ম চত্বর থেকে প্রতিদিন একাধিক শিবিরের গুপ্তচর আটক হয় অত্যাধুনিক ক্যামেরাসহ। আয়োজকবৃন্দের ক্লোজশট এবং তাদের নাম-পরিচয় ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে তাদের মোবাইল থেকে। একটু থমকে যাই, কিন্তু লাখো জনতার 'জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়' স্লোগানে আবার ফিরে আসি বাস্তবতায়। তাই যে যুদ্ধে আমরা নেমেছি, তা শেষ করা ব্যতীত ঘরে ফেরার দ্বিতীয় উপায় নেই। আর জামায়াত শিবিরের পতন আর এই ফাঁসির রায় একসূতোয় গাঁথা। এই ফাঁসিগুলো কার্যকর হতে থাকলেই তারা হয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন। মনে রাখতে হবে আমাদের আন্দোলন শুধু জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে, কারণ তারাই বর্তমানে একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা রাজনৈকভাবে বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতা করেছিলো এবং রাজাকার-আলবদর গঠনের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের সামরিক সহায়তা দিয়েছিলো। অন্যকোনো ইসলামিক দল বা ধর্মভিত্তিক দলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন নয়।
৩. জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম বা রাজনৈতিক চাপ যে কারণেই হোক, পথ ভুলে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে দিয়েছিলো যাবজ্জীবন। 'রাজাকারের ফাঁসী চাই, পক্ষ নিলে রক্ষা নাই' এই স্লোগানে পুরো দেশ কাঁপিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি নিজ জাতি,দেশ ও আমাদের শহিদের প্রতি আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর তাদের পক্ষ যেই নেবে, সরকার বা বিরোধীদল তাদেরও রক্ষে নেই। ইতিমধ্যেই পুরো দেশের ভীত তথা সংসদকে কাঁপিয়ে দিয়েছি আমরা, সংশোধন হচ্ছে আইন, যার ফলশ্রুতিতে আগামী একশ দিনের মধ্যেই ঝুলতে পারে কাদের মোল্লার গলায় ফাঁসির দড়ি। চাইলে এখনো ফিরতে পারতাম ঘরে। কিন্তু তা না করে বড় কঠিন পথ বেছে নিয়েছি আমরা। ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায় থাকা সাঈদির মামলাটিতে ফাঁসির আদেশ বা পুরো আইন সংশোধন এসবের আগে অন্তত ঘরে ফেরার কোনো উপায় নেই। টকশোতে তর্কবাগীশরা প্রথমে বলে বেড়িয়েছিলেন এই আন্দোলন বেশীদিন চলবে না, তাদের ভুল প্রমাণিত হবার পর এখন তারা উল্টো বলছেন এই আন্দোলন থামবে না।
৪. জামায়াত শুধু একটি রাজনৈতিক সংঘটনই নয়, হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে, একটি বড় অর্থনৈতিক শক্তিও বটে। যে দলটিকে গত ৪২ বছরে নিঃশেষ করা সম্ভব হয়নি, তারাও এত সহজে ছেড়ে দেবে না, কারণ গত ৪২ বছরে সবচেয়ে বড় সঙ্কটে আছে বর্তমানে তারা। ষড়যন্ত্র চলছে,চলবে, টাকা বিলাবে, তাদের পোষা মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে লিখবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাঙালি জাতি ইতিহাসের এই ক্রান্তিকালে সঠিক সময়ে, সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে।
৫. একাত্তরে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস পড়ে শহরিত হতাম বারংবার, হতাশ হতাম ভুল সময়ে জন মেছি ভেবে। কিন্তু ২০১৩ তে জাতির এই কলঙ্ক মুক্তির সংগ্রামে জড়িত থেকে এই আক্ষেপ গুচলো। জীবনের সেরা অর্জন হয়ে থাকবে এই হলুদ ব্যান্ড আর মহাসমাবেশের দিন ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের দেওয়া এই স্পেশাল পাশটি।
আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে। জয় বাংলা।
Ananta Hillol:
এটা পুরানো কৌশল। যে কোন আন্দোলনে মন্দ পক্ষ ভয় পেলে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। জামাত -শিবিরের ছাগুরা মরিয়া হয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। গণজাগরণ দেখে ওদের কইলজা, গুর্দা থর থর কইরা কাঁপতেছে। ওদের এই চেষ্টা প্রমাণ করে আন্দোলন ঠিক পথে আছে। দয়াকরে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
Shams Khan:
গত ৫ দিন আগে আমি "শাহবাগ স্কোঅর" নামটা শুনে ঘাবড়িয়ে যাই। সারাদিন মার্কিন টিভি চ্যানেল গুলোতে দেখা রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্চের দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে যেটার সাথে তাহিরির স্কোঅরের নামটা ওতপ্রতভাবে জড়িত। রাগ করে আওয়ামী লীগ এবং বাম দলের অনেককেই অনেক শক্ত কথা বলে ফেলি আমার FaceBook এর ওয়ালে।
ওগুলো কারো প্রতি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে বলিনি। যারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন তারা ভালো করেই জানেন যে আমি কারো ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতবাদের লেন্সের ভিতর দিয়ে তাকে দেখি না। বন্ধু বান্ধব, সহপাঠি, সহক��্মী, বড়ভাই, ছোটভাই, পারিবারিক সদস্য কেউ মনে ব্যথা পেয়ে থাকলে মনে ধরে রেখেন না। ফেইসবুক হচ্ছে বটতলার আড্ডাখানার মতো। আড্ডাবাজির গরম হলেই ভালো তবে এগুলো মনে রাখাটা ভালো না।
Zaheed Reza Noor
শাহবাগ-৩
শাহবাগে রাত জাগে
বাংলার সন্তান
স্লোগানে মুখর হয়
তাজা তাজা মন-প্রাণ।
তোমাদের যুদ্ধের
শুরুটা একাত্তরে
তোমরাই জ্বালো আলো
বাংলার ঘরে ঘরে।
জাহীদ রেজা নূর
Sanaullah Lablu:
গতকাল থেকে নাজিম হিকমতের "জেলখানার চিঠি" কবিতাটি আমাকে তাড়া করছে! প্রজন্ম চত্তরকে নিয়ে এমন একটি কবিতা বা গান কবে হবে? কোথায় কবি?
"রাত্রির অন্ধকারে, গ্রাম দেশে শুকনো পাতায় আমি জ্বালিয়েছিলাম আগুন
আমি স্পর্শ করছি সেই আগুন
নক্ষত্রের নীচে জ্বালা অগ্নিকুণ্ডের মত তুমি
আমার প্রিয়তমা, আমি তোমাকে স্পর্শ করছি।
আমি আছি মানুষের মাঝখানে, ভালোবাসি আমি মানুষকে
ভালোবাসি আন্দোলন,
ভালোবাসি চিন্তা করতে,
আমার সংগ্রামকে আমি ভালোবাসি
আমার সংগ্রামের অন্তস্থলে মানুষের আসনে তুমি আসীন
প্রিয়তমা আমার, আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
Morshed Noman:
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সারাদেশে তিন মিনিটের প্রতিবাদ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। ওইদিন বিকেল ৪টা থেকে ৪টা ৩ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশের মানুষকে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন শাহবাগের তরুণ আন্দোলনকারীরা। বিকেলে শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
Simu Naser:
গত কয়েকদিন হয় ঠিকঠাক মতো অফিস করি না। অফিস থেকে আনঅফিসিয়ালি জানানো হয়েছে, যাই করো না করো পাতাগুলো যেন বের হয়। তাই চুপেচাপে কিছুক্ষনের জন্য অফিসে এসে কাজে হারিয়ে যাই। চোখ-নাক বন্ধ করে কাজ করি। মানে এমনিতে প্রতিদিনের কাজগুলো সারাদিন লাগিয়ে করতাম আমি। এখন সারাদিনের কাজ ১ ঘন্টার ভেতর শেষ করি। তারপর শাহবাগে ছুটে যাই। এখন ঠিক সেরকম একটা সময়। নিজের ডেস্কে বসে কাজ গুছাচ্ছি হঠাৎ শুনি সম্মিলিত কণ্ঠের 'এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি'। ফিচার ডিপার্টমেন্টের সহকর্মীরা গাইছে। বুঝলাম শাহবাগের বাইরেও দেশের প্রতিটা অফিস-বাসা-চায়ের দোকান এখন এক টুকরো শাহবাগ।
জয় বাংলা।
Sobak Pakhi:
গতরাতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভেতরে সহযোদ্ধাদের সাথে কথাবার্তার এক ফাঁকে বেরিয়ে মূল গণজমায়েতের (চত্বর) ভেতরে ঢুকে বসে বসে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ঘন্টাখানেক পর আবার পিজিতে গিয়ে খন্ড খন্ড মিটিং সেরে চুপেচুপে একা বেরিয়ে চারুকলার দিকে হাঁটতে গেলাম। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিক্ষোভরত প্রজন্মের প্রতিবাদের ভাষা, রঙ, রূপ দেখলাম। অনেক কিছু বুঝলাম।
যখন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে জমায়েতের ভেতরে যাই, তখন দিলের দরজায় পর্দা থাকে। মাথাভর্তি পেইন থাকে। যখন 'সাধারণের' কাতারে থাকি, তখন গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতে পারি। গায়ের পশমগুলো দাঁড়িয়ে যায়। গলার রগ মোটা হয়ে যায়। যখন একা একা চারুকলার দিকে, আজিজের দিকে হাঁটি; প্রতিটি সুর, প্রতিটি স্লোগান, আমার পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুভব করি। এমন নিবিড় অনুভব মা'কে করা যায়, সন্তানকে করা যায়।
লাখ লাখ সাধারণ মানুষের এ নিবিড় অনুভব প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমন চেতনা কখনো প্রতারণা করে না। বেঈমানি করে না।
বিজয়ের সূর্য উঠবেই। জয় বাংলা!
Badol Khan
শাহবাগের বাইরেও দেশের প্রতিটা অফিস-বাসা-চায়ের দোকান এখন
এক টুকরো শাহবাগ।
জয় বাংলা.....
Hasan Jakir
'শাহবাগে রাস্তা বন্ধ নয়, আমাদের স্বপ্নের হাইওয়ের নির্মাণ কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।'
Badhan Shopnokothok
শরীরটা খুব খারাপ। জ্বর এসেছে, গলায় প্রচন্ড ব্যথা, দুই পায়ের গোড়ালি ও হাঁটুতে চাপা ব্যথা, পা ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। তবু দ্রোহের আগুনে, মানুষের ভালোবাসায়, গন জাগরনের ঊৎসবে পথ চলি।
বিপ্লবের কথা শুনেছি মানুষের মুখে, আন্দোলনের কথা বলেছেন অগ্রজেরা; শুনেছি আর ভেবেছি এমন কি মাহাত্ম্য এই শব্দের মাঝে? লাল বিপ্লব, নীল বিপ্লব, হলুদ বিপ্লব, কালো বিপ্লব... কতো না রঙ্গ, রূপ, রস বিপ্লবের। আমি দেখেছি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির এক বিপ্লবের রূপ। প্রজন্ম চত্ত্বরের প্রতিটি রাত পেরিয়ে ভোরের যে সূর্য ওঠে, তার প্রখর, কিন্তু মিষ্টি আলোর মাঝে আজ হারিয়ে গেছে সকল রঙ। এই বিপ্লবের কোন রঙ নেই, আছে শুধু অনুভূতি, আছে চেতনার ঊদ্ভাস।
মহাসমাবেশের পরের দিন, একজন আমাকে সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন আবেগে। চট্টগ্রাম থেকে এসেছিলেন মহাসমাবেশের দিন সকালে। একদিনের প্রস্তুতি নিয়ে আসলেও তাঁর এই গনজাগরনের রাজপথ ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। তিনি বললেন-
"আমি যাবোনা ঘরে ফিরে, আমি থাকবো আপনাদেরই মাঝে, আপনাদের একজন হয়ে, এ যে আমার অস্ত্বিতের লড়াই"
রংপুর থেকে এসেছিলেন একজন বীরাঙ্গনা, বাজারের ব্যাগের ভেতর টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার নিয়ে। নিজের হাতে লেখা একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন জনতার মহাসমূদ্রে, ঢেঊয়ে ভেসে গিয়েছিলো তাঁর ব্যাগটি, ভলান্টিয়ার টা পরে সেটা খুঁজে দিলেও টিফিন ক্যারিয়ারটি পাওয়া যায় নি। আমরা মায়ের মমতা দিয়ে নিয়ে এসে খাইয়েছিলাম তাঁকে, সে যে কি গর্ব, সে যে কি অন্তরের মাঝে অভিঘাতের পদধ্বনি!
ভোর রাতের দিকে যখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে যাবার ঊপক্রম হয়, ঘরে ফিরতে শুরু করি। দেখি কাগজ জ্বালিয়ে ধোঁয়ার বাতাবরনে রাস্তার ঊপরেই শুয়ে আছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেটি, যার ফেসবুকে পলিটিক্যাল ভিউতে লেখা আছে, I Hate Politics!
ভীড়ের মাঝে ঘুরে ঘুরে ছোটছোট দলগুলিকে খুঁজে বের করছিলাম। দশজন বন্ধু মিলে একটা ব্যানার বানিয়ে নিয়ে চলে এসেছে, ২০ জন সহকর্মী মিলে একটি পতাকা ও কিছু ফুল, মোমবাতি কিনে এনে বসে পড়েছেন রাস্তায়। আমি যেয়ে শুধালাম, আপনারা রাতে কিছু খেয়েছেন? না খেয়ে থাকলে আমাকে বলেন, খারাব আর পানি পৌঁছে দিচ্ছি। চিৎকার করে তাঁরা বললেন, তাঁদের খাবার লাগবেনা, তাঁরা আন্দোলনে এসেছেন। আমাকে বললেন, খাবার আপনারা খান, যারা যুদ্ধটাকে পরিচালনা করছেন! যাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি, তাঁদের চোখের কৃতজঙতার ভাষা বার বার আমাকে ঋদ্ধ করেছে।
আমি হু হু করে কেঁদেছি, স্লোগানের মাঝে চিৎকার করে কেঁদেছি, আমার ভাই, আমার মা, আমার বোন, আমার বাবা কে খুঁজে পেয়েছি লাখো জনতার মুখের মাঝে।
আমি স্বপ্ন দেখি, আমি স্বপ্নাহত... দেশ জেগেছে, জাতি জেগেছে, জয় আমাদের হবেই!
জয় বাংলা!