ফারাক্কার কারণে মৃতপ্রায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের চার নদী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯, ০০:০০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত ফারাক্কা ব্যারেজের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। ওই বছর থেকেই ব্যারাজের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। ফারাক্কার বিরুদ্ধে ১৯৭৬ সালের ১৬ই মে মজলুম জন নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ করা হয়। সেই থেকে ১৬ই মে ফারাক্কা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।এদিকে ফারাক্কার প্রভাবে চাঁপাই নবাবগঞ্জের পদ্মাসহ চার নদীই এখন মৃতপ্রায়। স্থানীয়রা বলছেন, নদীতে এখন পানির প্রবাহ নির্ভর করে ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। শুষ্ক মৌসুমে পানি পাওয়া যায় না, আবার বর্ষায় হঠাৎ পানি ছেড়ে দিলে বন্যা এবং নদী ভাঙন দেখা দেয়। এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জীব-বৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।পদ্মার চরের বাসিন্দারা জানান, ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের আগে, পদ্মায় ছিল থৈ থৈ পানি। আর ব্যারেজ নির্মাণের পর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এখন ভারতের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে পদ্মার পানি প্রবাহের মাত্রা। শুষ্ক মৌসুমে কখনো কখনো নৌকাও চালানো যায়না এই নদীতে। যথা সময়ে পানি দিতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন নিয়ে সংসয় রয়েছে তাদের।পদ্মায় পানি না থাকায় পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উদ্ভিদ ও জীবচক্র। বিশেষ করে শুশুক ও ঘড়িয়ালের প্রজননস্থল পদ্মা নদী হওয়ায় এই প্রাণী দুটি হুমকির মুখে পড়েছে।ফারাক্কা ব্যারেজের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণে চাঁপাই নবাবগঞ্জের পদ্মাসহ অন্য তিন নদী মহানন্দা, পাগলা ও পুনর্ভবা শুকিয়ে যাচ্ছে, এ কথা স্বীকার করে চাঁপাই নবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেদুল আলম বলেন, ব্যারেজ নির্মাণের পর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এখন প্রয়োজনীয় পানি পেলেও তা ধরে রাখা যায় না। আর ফারাক্কা ব্যারেজের দরজা হঠাৎ খুলে দেয়ার কারণে বাড়ছে বন্যা ও নদী ভাঙন প্রবণতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও