‘ভাঙাগড়ার খেলা আমার ভালো লাগে’
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম। ব্যান্ড ওয়ারফেজের হয়েই প্রথম পরিচিতি লাভ করেন। এই ব্যান্ডের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। এরপর একক ক্যারিয়ারে তার ধূমকেতুর মতোই আসা। এসেই বাজিমাত করেন। উপহার দেন নিজের প্রথম একক অ্যালবাম। সুপার ডুবার হিট হয় সেটি। এর প্রায় সবকটি গানই শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। একে একে অনেক জনপ্রিয় গান ও অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন। তবে মধ্যে বেশ বড় একটি বিরতি ছিলো বালামের। সেই বিরতি ভেঙ্গে গত দুই বছরে অনেকটাই নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এ শিল্পী। প্রকাশ করেছেন বেশ কিছু গান। কদিন আগেই প্রকাশ হয়েছে তার নতুন গান ‘হঠাৎ’। এটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে এখন কাটছে বালামের সময়। আলাপনের শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেমন আছেন? বালাম বলেন, খুব ভালো। গান নিয়েই আছি। গান প্রকাশ কম করলেও কিন্তু আমি সব সময় গানের মাঝেই থাকি। ব্যস্ততা কি নিয়ে? বালাম উত্তরে বলেন, ব্যস্ততা এখন শো ও নতুন গান নিয়ে। আমি নিজের স্টুডিওতে সব সময় গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্টও করতে থাকি। নিজের মতো করে কাজ করতে থাকি। ভাঙাগড়ার খেলা আমার ভালো লাগে। আর তা অবশ্যই গান নিয়ে। সে কারণেই স্টুডিওতে বেশি সময় দেই। কিন্তু আপনাকে গানে এখন কম দেখা যায় কেন? বালাম বলেন, এখন গানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মাধ্যম বদলেছে। সিডির বদলে ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। আমিও নিজেকে সময় দেয়ার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে আমি একই ধরনের গান প্রকাশ করতে চাইনি। সে কারণেই নিজেকে সময় দিয়েছি। সময়টা পরিবর্তনের জন্য। আমি চেয়েছি ভিন্নধর্মী সুরের গান শ্রোতাদের উপহার দিতে। সেটা যতক্ষণ মনে হয়েছে শতভাগ সম্ভব হয়নি ততদিন গান প্রকাশ করিনি। এখনও আমি অনেক বেশি গান প্রকাশ করছি না। কারণ গান নিয়ে তাড়াহুড়োর পক্ষে আমি নই। কম কিন্তু ভালো মানের গান প্রকাশের পক্ষে আমি। কদিন আগে আপনার ‘হঠাৎ’ শীর্ষক গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সাড়া মিলছে কেমন? বালাম বলেন, গানটি আমার নিজের খুব প্রিয়। এর কথা লিখেছেন তাহসান। আর সুর করেছি আমি। মিউজিক করেছেন অ্যাপিরাস। আর গানটির ভিডিওত আমার সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন সুজানা। সব মিলিয়ে একটা সুন্দর টিমওয়ার্ক ছিলো কাজটিতে। আমার লুকেও পরিবর্তন দেখেছে দর্শক। কারণ এমন লুকে আগে কখনও পর্দায় আসিনি। সুজানাও খুব ভালো করেছে। সব মিলিয়ে সাড়াতো ভালো মিলছে। আমার মনে হয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো ভালো দিকে যাবে গানটি। এখন দেশের সংগীতের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে আপনার কাছে? বালাম বলেন, খারাপ না। আবার খুব ভালোও না। কারণ অনেক মেধাবী শিল্পী-সুরকার আসছেন। ভালো কম্পোজাররাও আসছেন। কিন্তু তারা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না। প্ল্যাটফর্মের অভাব। ইউটিউবে গান প্রকাশ করলেও সেটা নিয়মের মধ্যে হচ্ছে না। গোছানো হচ্ছে না। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটা হযবরল অবস্থা চলছে বলে মনে হয়। তবে প্রতিকূলতার মাঝেও এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি নিজের চেষ্টাও মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ভালো মানের গান করার চেষ্টা করে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি ভালো গান মানুষ নেবেই। এর বিকল্প নেই। হয়তো সাময়িকভাবে সময় খারাপ যেতে পারে। তবে সেটা উতরে যেতে হবে। তাছাড়া কোম্পানিগুলোরও উচিত মেধাবীদের সুযোগ করে দেয়া।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- ভালো লাগার অনুভূতি
- ঢাকা