রোকেয়া হলে উদ্ধার হলো বাক্স ভর্তি ব্যালট

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

সকাল ১১টা। রোকেয়া হলে প্রবেশ করতেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ে। নির্দিষ্ট সীমানার পরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি নেই। ফলে প্রবেশদ্বারের কিছুটা সামনে অবস্থান করে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। হঠাৎ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক নেতা এসে গণমাধ্যমকর্মীদের তাদের সঙ্গে ভেতরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় রোকেয়া হল ছাত্র সংসদ রুমে কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর, রাশেদ খান ও ফারুকসহ অন্য নেতারা অবস্থান করছিলেন। ভোটকেন্দ্রের পাশে একটি কক্ষে রাখা ব্যালট বাক্স উদ্ধারের বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তারা ভোটকেন্দ্রের পাশের কক্ষের সামনে গিয়ে জড়ো হন। কক্ষটি ছিল তালা মারা। এ সময় কোটা আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুর কক্ষের ভেতরে থাকা ব্যালট বাক্স বের করে প্রার্থীদের সামনে তুলে ধরতে বলেন। দরজা ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে প্রভোস্ট প্রফেসর ড. জিনাত হুদা এসে রুমের সামনে দাঁড়ান। এর আগে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় এ হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা ভোটদান কার্যক্রম চলার পর সকাল সাড়ে ১১টার পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন প্রভোস্ট জিনাত হুদা। জিনাত হুদার সঙ্গে কোটা আন্দোলনের নেতাদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি ভিসির দোহাই দিয়ে বলেন রুম খোলা যাবে না। পরবর্তীতে কোটা আন্দোলনের প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে রুমের ভেতরে তিনটি টিনের বাক্স পাওয়া যায়। বাক্সগুলোর তালা ভেঙে ভেতরে ব্যালট বোঝাই দেখতে পাওয়া যায়। তবে, ব্যালটে কোনো প্রকার সিল মারা ছিল না। এ সময় ছাত্রলীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরকে মারধর করেন। এতে তিনিসহ কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ ও ফারুক আহত হয়েছেন। পরে নুরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ভোটকেন্দ্রে ৯টি ব্যালট বাক্সের মাঝে ৬টি উন্মুক্ত রাখা হলেও ৩টি ব্যালট বাক্স লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের দাবি, হলে ভোটের জন্য মোট ৯টি ব্যালট বক্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্য থেকে তিনটি বাক্স নির্ধারিত জায়গায় ছিল না। পরে একটি ব্যালট বাক্স টেবিলের নিচে লুকিয়ে রাখতে দেখেন তারা। অভিযোগ তোলা ছাত্রীদের সেখান থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে রোকেয়া হল ও এর ভোটকেন্দ্রকে ঘিরে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ব্যালট উদ্ধার ও অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে। পরে বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও