সফল নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশে অপরিহার্য তেমনি এ দেশের অগ্রযাত্রাও অবধারিত
তিয়াশা চারু : অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে এখনই বিকেন্দ্রীকরণের উপযুক্ত সময়। জনবন্ধু শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামকে শহরের অনুরূপ করতে হলে অন্যান্য ক্ষেত্র ছাড়াও কৃষি উৎপাদন ও বিপণন সমবায়ে খাদ্য মজুদ, সৌরবিদ্যুৎ ও অতিশয় সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা যায়। ঢাকা থেকে কয়েকটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, পরিদফতর, খেলার মাঠ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের চিন্তা করা যায়। ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগের দিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি, যিনি এখন চতুর্থ মেয়াদে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন যে বৈষম্য দূর করা হবে। অর্থাৎ বাজার ব্যবস্থাধীনে দ্রুতগতি সামষ্টিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে আয়, সম্পদ ও সুযোগে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সূত্র : দৈনিক বণিক বার্তাতিনি আরো বলেন, জাতির পিতা ও তার কন্যা, যিনি নিজগুণেই অসাধারণ নেতা, কল্যাণরাষ্ট্রে একটি সমতাপ্রবণ সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে যে স্বপ্ন-সাধনা করেছেন ২০১৯-২৩ সময়ে তা যেন সম্ভব হয়। ১৯৯৬-২০০১ সালের ‘গ্রোথ উইথ ইকুইটি’ সে পথ প্রদর্শন করে গেছে বটে। বাংলাদেশের সামনে এখন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই কাজ করতে হবে অবিরাম। সফল নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশে অপরিহার্য, তেমনি এর অগ্রযাত্রাও অবধারিত। তবে বাজার অর্থনীতি ও ব্যক্তি খাত একটি অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে। দেশের বিনিয়োগের সিংহভাগই (সাধারণভাবে ৭৫-৮০ শতাংশ) ব্যক্তি খাতে, তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী শিল্পোৎপাদনের থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে নজর বেশি। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ হালে কেন স্থবির, তার দায়ভার সমভাবে সরকার ও বেসরকারি খাতে ন্যস্ত। দেশের ৭৫-৮০ শতাংশ ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যক্তি মালিকানায়। একাদশতম সংসদের ৬১ শতাংশ ব্যবসায়ী-শিল্পপতি। অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বে এখন ব্যক্তি খাতের শিরোমণিরা। চলমান বাজার ও ব্যাংকিং ব্যবস্থাধীনে নীতি-কৌশলে গতি এনে সরকারের ওপেন পিট কয়লা আহরণে আরো সমৃদ্ধ হবে অবকাঠামো সুবিধার উৎপাদনশীল খাত। ‘ইটলস’ বিজয়-পরবর্তীতে গ্যাস অনুসন্ধানে ১২নং কূপে ৫নং কাঠামোয় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান তথা দারিদ্র্য নিরসন ও বৈষম্য হ্রাস করে ব্যক্তি খাত এখন অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে। এটি বেসরকারি খাতের নেতৃত্বের একটি অগ্নিপরীক্ষাও বটে।