ভাড়া বাড়িতে ব্যাংক, ভল্ট তৈরিতে নিরাপত্তা আইন মানা হচ্ছে না।
ভাড়া বাড়িতে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালার নির্দেশমত ব্যাংকের ভল্ট তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে এ বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। সূত্র: খবর একাত্তর।বাংলাদেশের ব্যাংক সেক্টর সম্প্রসারিত হচ্ছে, সাথে সাথে বেড়ে চলেছে সব ব্যাংকের শাখা। ব্যাংকগুলো বেশিরভাগ শাখা ভাড়া বাড়িতে করছে, এতে তারা বাড়িওয়ালার শর্ত মানতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ব্যাংকের ভল্ট তৈরিতে মানা হচ্ছে না নিরাপত্তা নীতিমালা। এতে যেমন ব্যাংকের নিরাপত্তা কমছে, তেমনি গ্রাহকেরা তাদের আস্থা হারাচ্ছে ব্যাংকগুলোর প্রতি। উল্লেখ্য যে, বিগত বছর কয়েকটি ঘটনায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুট বা উপরের তলার ছাদ কেটে নেমে ভল্ট ভেঙ্গে টাকা ডাকাতির ঘটনা জনমানুষের মনে আতংক ও আস্থাহীনতা সৃস্টি হয়। এ বিষয়ে আজ একাত্তর টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টারের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদুর রহমান বলেন ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর বাড়ানো উচিত। কারণ ব্যাংকের ভল্ট শুধু একটি ঘর নয়, এটি মানুষের আমানত, এটি মানুষের আস্থার জায়গা। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ মানুষ তার কষ্টের টাকা আপনার কাছে রাখবে আর সেখান থেকে যদি টাকা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে মানুষ কেন সেখানে তার কষ্টার্জিত টাকা রাখবে। তাঁর মতে ব্যাংকগুলো তাদের অন্দরসজ্জায় যেভাবে টাকা খরচ করে, যে উন্নত ডেকোরেশন করে থাকে, ঝকঝকে করে সাজিয়ে তোলে, ব্যাংকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দেয় না। এক্ষেত্রে তিনি ব্যাংক মালিকদের প্রতি মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য নিরাপদ ব্যাংক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান। একই সাথে তিনি ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব জমি কিনে শাখা স্থাপনের পরামর্শ দেন। এতে ব্যাংকের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে তেমনি মানুষের আস্থা বাড়বে।ব্যাংকের ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন এটি চলমান প্রক্রিয়া, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো বিদেশী সুইফট ব্যবহার করে লেনদেন করে, আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা এ সুযোগ গ্রহণ করে টাকা লুটে নিচ্ছে। যদিও আমাদের দেশে এর প্রভাব কম রয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বে হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তিনি ব্যাংক গুলোকে তাদের নিজস্ব আইটি এক্সপার্ট নিয়োগ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দেন।