রাজউকের নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) কারণে রাজধানীতে থমকে আছে নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন। নতুন ড্যাপের নিয়মে সড়কের প্রশস্ততার ওপর ভিত্তি করে ভবনের উচ্চতা ও ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর বা ফার) নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ছোট রাস্তার পাশের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রায় অসম্ভব বলে জানাচ্ছেন আবাসন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন নিয়মের কারণে জমির মালিকরা তাদের জমি ডেভেলপারদের দিতে আগ্রহ হারাবেন। তাদের বক্তব্য, ছোট রাস্তার কারণে ভবনে তলার সংখ্যা কমে গেলে ডেভেলপারদের সঙ্গে লাভজনক শেয়ার চুক্তি করা সম্ভব হবে না। এতে জমির মালিক যেমন প্রাপ্য ফ্ল্যাটের সংখ্যা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ছেন, তেমনি ডেভেলপাররাও বিনিয়োগের ঝুঁকিতে যেতে চাইছেন না।
ফ্ল্যাট সংখ্যা কমার আশঙ্কা
উদ্যোক্তাদের হিসাব অনুযায়ী, ৩ কাঠার প্লটে জনঘনত্ব ১ দশমিক ৭৭ হলে আগে যেখানে ১২টি ফ্ল্যাট করা যেত, সংশোধিত নিয়মে তা নেমে আসবে ছয়টিতে। ৫ কাঠার প্লটে আগে ১৪–১৬টি ফ্ল্যাট পাওয়া যেত, এখন হবে মাত্র ৯টি—এর মধ্যে বড় সাইজের সিঙ্গেল ইউনিট ২৪শ স্কয়ারফুট বা ডাবল ইউনিট ১২শ স্কয়ারফুট।
এ প্রসঙ্গে রিহ্যাব সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এভাবে ফ্ল্যাট সংখ্যা কমে গেলে জমির মালিকরা ডেভেলপমেন্টে অনাগ্রহী হবেন না, কর্মসংস্থান কমবে এবং ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে।’