বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত, অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা আটক
যশোর-৩ সদর আসনে বিএনপি প্রার্থী অমিতের ওপর হামলা করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় হামলাকারীরা তার বহনকারী গাড়িটি ভাঙচুর করে। ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস্তুল , শর্টগান ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ যুবলীগ নেতা তুহিন ও মঈনকে আটক করে বিজিবি। এসময় হামলাকারীরা সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিককে মারপিট করে আহত করে। এছাড়া এই নির্বাচনী এলাকার ১৭২টি ভোট কেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার মাহমুদুর রহমান স্কুল কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলে এই অভিযোগ করেন প্রার্থী অমিত। তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, সকাল থেকেই তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেলা সাড়ে ৯টার দিকে যশোর জেলা স্কুল কেন্দ্রে মূর্হুর মূর্হুর বোমা শব্দে আতঙ্কিত ভোটাররা দিক বিদিক দৌঁড়াতে শুরু করে। এসময় এই স্কুলের ২টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এছাড়া শহরের আব্দুস সামাদ, ইন্সিটিটিউট, বারান্দীপাড়া শতদল, আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, শতদল প্রাইমারী স্কুল, এমএসটিপি স্কুলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বারান্দীপাড়া সরকারী প্রাথমিক স্কুল কেন্দ্রে যান বিএনপি প্রার্থী অন্দিন্য ইসলাম অমিত। এসময় একদল দুর্বৃত্ত তার বহনকারী গাড়িটি ভাঙচুর করে। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক সুজায়েত শামীম সুমন ও হানিফ ডাকুয়া হামলার শিকার হন। এর পর পরই এমএসটিপি স্কুল কেন্দ্রে সস্ত্রীক লাঞ্চিত হন দৈনিক কালেরকন্ঠের সাংবাদিক ফিরোজ গাজী। দুর্বৃত্তরা স্ত্রীর সামনে ফিরোজ গাজীকে মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় বলে জানান সাংবাদিক ফিরোজ গাজী। এদিকে গত রাতে প্রার্থী অমিত গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, তার নির্বাচনী এলাকার ১৭২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্রে রাতেই ভোট ডাকাতি সম্পন্ন করেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর পরই প্রার্থী অমিতের বাড়ি ঘেরাও করে তার ২ নির্বাচনী কর্মী দেলোয়ার হোসেন খোকন ও ফয়সল ইসলামকে আটক করে বিজিবি ও পুলিশ।এদিকে বেলা ১২টার দিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় জেলা বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ওপর হামলার ঘটনায় ১ পিস্তুল , ১ শর্টগান ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিসহ যুবলীগ নেতা তুহিন ও মঈনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদেরকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। যশোরের বাঘারপাড়া নির্বাচনী এলাকায় রাতেই ব্যাপক ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন প্রার্থী বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুব। বেলা ১১টার দিকে যশোর ২ নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শার্শা, মণিরামপুর ও কেশবপুর আসনের চিত্রও একই রকম বলে দাবি করেন বিএনপির নেতারা।এদিকে হামলার শিকার হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযোগ নিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি তার ওপর হামলা ও তার গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় জেলা রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন।