কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লালমোহনে ভুয়া স্বাক্ষরে সরকারি টাকা আত্মসাৎ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

লালমোহনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পিইডিপি-৪ এর আওতায় আনুষঙ্গিক ব্যয় করার জন্য লালমোহন উপজেলার পশ্চিম রায়চাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে রুটিন মেন্টেন্যান্স বাবদ ৪০ হাজার টাকা, স্লিপের ৫০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকার বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এসব টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজল ইসলাম। গত জুন মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক বরাদ্দ পাওয়া এই টাকা উত্তোলন করে কেবলমাত্র ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলে গত ১৩-৬-১৯ তারিখে একটি ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন। যে রেজুলেশনে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজল মালের স্বাক্ষরসহ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের আরো ৭ সদস্যের স্বাক্ষর একাই দেন প্রধান শিক্ষক তাজল ইসলাম।দেখা গেছে, ওই ভুয়া ভাউচারে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা দেখানো হলেও ওই বিদ্যালয়ে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগই নেই! বিদ্যালয়ে রঙের কাজ বাবদ ২১শ’ টাকা দেখানো হয়েছে। অথচ বিদ্যালয়ে কোনো রঙের কাজ করা হয়নি। এছাড়া ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি স্টিলের শোকেস কেনা হয়েছে মর্মে ভাউচার দেখানো হলেও কার্যত বিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে একটি পার্টেক্সের ছোট্ট শোকেস। এরকম ভুয়া ভাউচার তৈরি করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, লালমোহন পৌর শহরের রিয়াজ স্টোর নামের যে দোকান থেকে বিদ্যুৎ ও রঙের ভাউচার দেখিয়েছেন, তবে সে দোকানে কোনো বিদ্যুৎ সামগ্রী ও রঙ বিক্রি হয় না বলে জানান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যের স্বাক্ষর তাদের সম্মতিতে আমি নিজে দিয়েছি। এছাড়া টাকা উত্তোলন করতে শিক্ষা অফিসে কিছু অংশ দিতে হয়। বরাদ্দের টুকিটাকি কিছু কিনে বাকি টাকা রেখে দিয়েছি স্কুলের অন্য কাজের জন্য। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজল মাল বলেন, গত এক বছরে ওই বিদ্যালয়ের কোনো রেজুলেশনে আমি স্বাক্ষর করিনি। আর বিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয় না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, এই প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও জালজালিয়াতির বিষয়ে আমাদের হাতে ডকুমেন্টস এসেছে। আমরা খুব শিগগিরই তদন্ত পূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও