কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সৌদি, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যা বললেন ইমরান

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সফরে আসা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাশ্মীরে নয়া দিল্লির ‘অবৈধ ও একতরফা পদক্ষেপে’ এবং এর প্রেক্ষিতে সেখানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে অবহিত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময়ে তিনি বলেন, ভারতের অবৈধ কর্মকান্ড, আগ্রাসী নীতি ও ভাবভঙ্গি বন্ধ করতে, আগের অবস্থায় ফেরত যেতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাতে দায়বদ্ধতা আছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। বুধবার একদিনের জন্য পাকিস্তান সফরে আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর। তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইমরান খান ভারত দখলীকৃত কাশ্মীরে ক্রমশ অবনতিশীল মানবাধিকার ও মানবিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গভীর উদ্বেগ তুলে ধরেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কাশ্মীর থেকে অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ইমরান খান। একই সঙ্গে চলাচল ও যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত যে অ্যাকশন নিয়েছে তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সফরে আসা অতিথিদের তিনি আরো বলেছেন, কাশ্মীরে অবৈধ অ্যাকশন ও জনগণের ওপর ক্রমবর্ধমান নিষ্পেষণ থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে ভারত ভুয়া ‘ফ্লাগ অপারেশন’ চালাতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ এক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে ভারতের কর্মকান্ড। এ জন্য ভারতকে চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা আছে বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের। জবাবে ওই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা তাদের দেশের নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী পাকিস্তান সফর করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বের বিষয়ে নতুন করে আবার তুলে ধরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় পাকিস্তানের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। এ সময় তারা কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে পাকিস্তানি জনগণের ক্ষোভের বিষয় অনুধাবন করেন। বর্তমানে সামনে যে চ্যালেঞ্জ তা মোকাবিলায়, উত্তেজনা প্রশমনে এবং শান্তি, নিরাপত্তার পরিবেশ বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার করেছে ওই দুই দেশ। ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ওই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও