নোয়াখালীতে খাল দখলমুক্ত নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও প্রশাসন মুখোমুখি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালী শহরে খাল দখলমুক্ত করতে পুনঃখনন চলবে শনিবার পর্যন্ত। তবে এ নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। তারা সকাল ৮টার মধ্যে সোনাপুর জিরো পয়েন্টে ডাক দিয়ে মাইকিং করার সময় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করছে সুধারাম থানা পুলিশ। ওসি নবীর হোসেন মানবজমিনকে জানান, তাকে ধরার পর হাজতে দেয়া হয়েছে। নোয়াখালী শহরের দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছাগলমারা খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করে পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত করা হয়েছে সেনাবাহনীকে। দীর্ঘদিন পর এমন উদ্যোগে খুশি শহরবাসী। তবে, নানা অজুহাতে খালের কোন কোন স্থানে ওপর এখানো অবৈধ স্থাপনা থেকে যাওয়ায় এবং কোথাও কোথাও খালের প্রস্থতা কমে যাওয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে দখল, দূষণ আর সংস্কারের অভাবে নোয়াখালী শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের প্রবাহমান ছাগলমারা খালটি অস্তিত্ব হারাতে বসছে। শহরের পানি নামার একমাত্র পথ এ খালটি দখল করে তৈরি করা হয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। যার কারণে প্রতি বছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সময় বাসাবাড়ি, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পথঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। যার কারণে শহরবাসী দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে পুনঃখনন করে জলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে জেলা প্রশাসন, পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে বিএডিসির মাধ্যমে গত ২৭শে জুন থেকে মাইজদী পৌর বাজারের সামনে থেকে ছাগলমারা খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন কাজ করা হয়। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডর সার্বিক তত্ত্বাবধানে খালের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা দোকানপাট, বাড়িঘর, পুল-কালভার্ট সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে খনন কাজ চলে। দীর্ঘদিন পর জলাবদ্ধতা জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগে খুশি শহরবাসী। তবে, নানা অজুহাতে খালের কোন কোন স্থানে এখানো দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অবৈধ স্থাপনা বহাল রাখা এবং কোথাও কোথাও খালের প্রস্থতা কমে যাওয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শহরের গুপ্তাঙ্গ এলাকায় খালের ওপর এখনো একটি জুয়েলারী দোকান রয়ে গেছে। একই এলাকায় দক্ষিণ পাশে খালের উপর পৌর কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাকা ভবনের কিছু অংশ এখনো রয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর আবার দখলের অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে নোয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, মাইজদী থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ছাগলমারা খালের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খনন কাজ এগিয়ে নেয়া হবে, এক্ষত্রে কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে ছাগলমারা থালকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান, সদর-সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। জলাবদ্ধার অভিশাপ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাল পুনরুদ্ধারে প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শামছুদ্দিন জেহান। শহরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো খাল দখলমুক্ত না হলে জলাবদ্ধা সমস্যার সমাধান হবে না বলে স্বীকার করেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। তিনি জানান, পুরো খাল এবং খালের পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করার পর আর যাতে বেদখল না হয় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও