তৌহিদি জনতা নয়, জেমসের কনসার্টে হামলার আসল সত্য জানালেন শিক্ষার্থী
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক কনসার্ট। সেখানে পারফর্ম করার কথা ছিল নগরবাউল খ্যাত জেমসের। তিনি মঞ্চে উঠার আগেই শুরু হয় হট্টগোল। ভয়াবহ হামলায় পন্ড হয়ে যায় কনসার্টটি। ছড়িয়ে পড়ে ৫ জনের মৃত্যুর গুজবও। সেই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে শোরগোল। ফরিদপুরেও এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফরিদপুর জিলা স্কুলের এক সাবেক শিক্ষার্থীও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাগো নিউজকে। আশরাফুল ইসলাম রানা নামে স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী জানান, পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত নিবন্ধিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব আয়োজন। তার ভাষায়, ‘এটা আমাদের স্কুলের একশ পঁচাশি বছর পূর্তি প্রোগ্রাম। প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিবন্ধনের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন। আমিও ঢাকা থেকে এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।’
তিনি বলেন, ফরিদপুর জিলা স্কুল তার বাসা থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এবং ঘটনার সময় তিনি সরাসরি সেখানে ছিলেন। আশরাফুল ইসলাম রানা জানান, অনুষ্ঠানে জেমসের পারফরম্যান্সের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিপুলসংখ্যক বহিরাগত ভিড় জমায়। তাদের মধ্যে শুধু জেমসের ভক্তই নয়, বিভিন্ন এলাকার বহিরাগত মানুষ, কিশোর গ্যাং এবং উগ্র আচরণকারী কিছু দলও ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, এসব বহিরাগত দর্শক অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার চেষ্টা করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। ‘আমাদের আয়োজনটি ছিল নিবন্ধিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু বাইরে থেকে অনেকেই জোর করে ঢুকতে চাইছিল। তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়’, বলেন রানা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে আশরাফুল ইসলাম রানা জানান, ঘটনার সময় জেমস মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। কনসার্ট শুরুই হয়নি তখন।
এই প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, ঘটনাটি পরিকল্পিত কোনো হামলা নয় বরং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা থেকেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো নিহত হওয়ার গুজবকেও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।