সারকোপেনিয়া বা মাংসপেশির ক্ষয়রোগ কেন হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন
প্রথম আলো
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:২৫
সারকোপেনিয়া বা মাংসপেশির ক্ষয়রোগ হলো বয়সের কারণে ধীরে ধীরে পেশির ভর, শক্তি ও কার্যক্ষমতা কমতে থাকা। সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের পর থেকে ধীরে ধীরে পেশির ক্ষয় শুরু হয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্রতা বাড়ে।
কেন হয়
সারকোপেনিয়ার প্রধান কারণ হলো বয়স বৃদ্ধি বা বার্ধক্য। তবে আরও কিছু বিষয় এ জন্য দায়ী। এর মধ্যে একটি শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা অর্থাৎ নিয়মিত ব্যায়াম না করা বা সক্রিয় না থাকা। পুষ্টিহীনতা, বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন-ডি ঘাটতি।
হরমোনজনিত পরিবর্তন যেমন টেস্টোস্টেরন, গ্রোথ হরমোন, ইনসুলিন ইত্যাদির হ্রাস। ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনির বা ফুসফুসের রোগ। স্টেরয়েড বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থাকলেও এ রোগ হয়।
কীভাবে বুঝবেন
সারকোপেনিয়া ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো—
- পেশিশক্তি কমে যাওয়া।
- শরীরের ওজন কমে যাওয়া, বিশেষ করে মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া।
- হাঁটার গতি ধীর হয়ে যাওয়া।
- অল্পতেই ক্লান্তি।
- দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা যেমন—চেয়ার থেকে উঠতে, সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট হওয়া।
- ভারসাম্য হারানো বা বারবার পড়ে যাওয়া।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- বার্ধক্যজনিত রোগ