দায়মুক্তির কালো আইন ও জ্বালানি অপরাধের বিচার
গুম, খুন, হত্যার বিচারের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদনও সরকারের হাতে এসেছে। আশা করা যায় দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়বে না। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়েও রাষ্ট্র সংস্কার ও সুবিচারের যে রাজনৈতিক প্রত্যয় পাওয়া গেছে তাও এসব বিচারিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। রাষ্ট্র সংস্কারে খাতভিত্তিক সংস্কারে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এটা দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। গত দুই দশকে এই খাতে ঘটে গেছে এক ভয়ংকর ঘটনা। দায়মুক্তির কালো আইন বানিয়ে এই খাতে সংঘটিত হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিজনিত জ্বালানি অপরাধ। এখন দরকার এই জ্বালানি অপরাধের তদন্ত ও জ্বালানি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
পলাতক শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পথ তৈরি করে কিছু কালো আইন। ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি দাঁড়িয়ে ছিল এসব কালো আইনের পাটাতনের ওপর। এই কালো আইনগুলোই তাকে বাধাহীন দুর্নীতি করার সুযোগ দেয়। অবারিত করে সামগ্রিক দুর্বৃত্তায়ন-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার। এসব কালো আইনের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ী-মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের এক দুর্বৃত্ত সিন্ডিকেট।
- ট্যাগ:
- মতামত
- হত্যাকাণ্ড