সন্তানের সামনেই রেগে যাচ্ছেন? জেনে নিন, রেগে গেলে কী করবেন

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:১৬

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে রাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ আপনার সন্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সন্তানেরা সাধারণত দুষ্টুমি করবেই, আর উচ্চ মানসিক চাপের সময়ে বাবা-মায়ের জন্য সামান্য ভুলের কারণেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কার্যকরভাবে রাগ পরিচালনা করা শেখা কেবল আপনার মানসিক প্রশান্তিই দেবে না, পারিবারিক পরিবেশ এবং সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।


রাগের মুহূর্তে কী করবেন


যদি আপনি প্রায়ই রাগের শিকার হন, তবে আপনার রাগের কারণ বা ’ট্রিগার’ চিহ্নিত করা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে যখন রাগ চরমে ওঠে, তখন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য প্রথমে নিরাপদে সরে আসুন। রাগের সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আশপাশে সবাই নিরাপদ আছে।


রাগ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কার্যকর উপায় হলো ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। অথবা নীরবে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন। এ ছাড়া ‘গ্রাউন্ডিং’ কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হাতে সহজে বহনযোগ্য একটি ছোট বস্তু ধরে রাখুন কিংবা আশপাশের জিনিসপত্র চিহ্নিত অথবা গণনা করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণকে পরিবেশের দিকে সরিয়ে দিন। 


পরামর্শকের সাহায্য নিন


রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি নেওয়া প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উন্নতি লাভ করেন। আপনার রাগ নিয়ে আপনি একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রেফার করতে পারবেন। 


শিশুদের আবেগের শিক্ষক হতে পারেন


শিশুদের মধ্যেও রাগ বা ক্রোধের অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো, তাদের এই অনুভূতিগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে শেখানো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজে সঠিক রাগ ব্যবস্থাপনা করে তাদের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা।


সন্তানের ওপর রাগের নীরব আঘাত


অতিরিক্ত রাগ, বিশেষ করে চিৎকার-চেঁচামেচি, শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ শিশুর মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে। চিৎকার-চেঁচামেচি আচরণ সংশোধনের পরিবর্তে উল্টো প্রায়শই তারা অবাঞ্ছিত আচরণ করে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও