‘পলক–স্টাইল’ প্রকল্প এবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। ব্যয়ের বড় অংশ ব্যয় হয় তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
তখন আইসিটি বিভাগে একের পর এক প্রশিক্ষণ প্রকল্প নিয়ে সরকার-ঘনিষ্ঠদের কাজ দেওয়া, নামকাওয়াস্তে প্রশিক্ষণ ও টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে। সেসব প্রকল্পের সুফল কতটা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইসিটি বিভাগে এ ধরনের নতুন প্রকল্প নিতে দেখা যাচ্ছে না।
একই ধরনের প্রকল্প ফিরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়। এবার অবশ্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ নয়, দুটি প্রকল্প নিয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। গত বছরের নভেম্বরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। বছর না যেতেই গত অক্টোবরে নেওয়া হয়েছে ৪৬ কোটি টাকায় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) শেখানোর আরেক প্রকল্প।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর প্রকল্পের আওতায় এআইয়ের প্রশিক্ষণ দিলেই হতো। এ জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। পাশাপাশি পুরোনো প্রশ্ন এখনো রয়েছে। সেটি হলো, এসব প্রশিক্ষণ কতটা কাজে লাগবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার দিকের এআইয়ের হাইপে আমরাও মনে হয় গা ভাসাচ্ছি। এআই শেখার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি। এআই প্রশিক্ষণ আর এআই টুল ব্যবহারের প্রশিক্ষণের মধ্যে তফাত আছে। তা ছাড়া এ ধরনের প্রশিক্ষণে অল্প কিছু পাইলট কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জিত হলে তারপর দেশব্যাপী বড় কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত।’
দুটি প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মইনুল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেই তাঁরা ৩০০ কোটি টাকার একটা ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্প নিয়েছেন, সেখানেও এআই কম্পোনেন্ট (অংশ) যুক্ত করা যেত।