দেশে এখন যাঁরা সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচনের দাবি করছেন, তাঁরা দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, নির্বাচন হবে পাঁচ বছর পরে; ২০২৪–এর পরের নির্বাচন ২০২৯ সালে।
কোন সাংবিধানিক যুক্তির ভিত্তি থেকে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন ফরহাদ মজহার। দেশের প্রচলিত আইন মানার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন ঠিক আছে উপদেষ্টার সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) শেখ হাসিনার সংবিধান মেনেছে, তাহলে ২০২৯ সালের নির্বাচন আপনাকে মেনে নিতে হবে।’
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬: জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক নির্বাচনী সংলাপে আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংলাপের আয়োজন করে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস)।
অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা না করায় সমালোচনা করেন এই কবি ও চিন্তক। তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের একটি ইলেকশন তো হয়ে গেছে ২০২৪ সালে। এই উপদেষ্টা সরকারের প্রধান তো এখন পর্যন্ত সেই নির্বাচনকে অবৈধ বলেন নাই। তাঁর যে কনস্টিটিউটিং পাওয়ার (সাংবিধানিক ক্ষমতা) গণ–অভ্যুত্থানের মধ্যে হাজির হয়েছিল, এটা তিনি নিজেই নস্যাৎ করেছেন শেখ হাসিনার সংবিধানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।’