মনমেজাজ ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার জরুরি
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।