নিংসিয়া এবং ‘আটটি অমূল্য উপাদানে তৈরি চা’

জাগো নিউজ ২৪ আলিমুল হক প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯

আমার ছেলে আহমাদ বিন আলিমের বয়স বারো। সময়-সুযোগ পেলেই পাবলিক বাসে চেপে বসে; বেইজিংয়ের নানান জায়গায় একা একা ঘুরে বেড়ায়। চীনের রাজধানী পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ জায়গা, যদি সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা না-হয়। তারপরও, পিতামাতার মন বলে কথা! শর্তসাপেক্ষে তাকে একা একা ঘুরতে যেতে দেওয়া হয়: প্রথমত, মাগরিবের আগে ঘরে ফিরতে হবে; দ্বিতীয়ত, স্মার্ট ঘড়ি হাতে পরতে হবে।


 স্মার্ট ঘড়ি আসলেই স্মার্ট। এর নিজস্ব একটা সিমকার্ড আছে। সে চাইলে ঘড়ি থেকে যে-কাউকে ফোন করতে পারে, আবার আমরা চাইলে তাকে সাধারণ ফোন থেকে কল করতে পারি। অডিও-ভিডিও দু’ধরনের কলই চলে। সবচেয়ে বড় কথা, ওর স্মার্ট ঘড়ি নিয়ন্ত্রিত হয় আমার মোবাইল ফোন দিয়ে। সে কোথায় যায়, কখন যায়, আমার ফোনে ইনস্টল করা সংশ্লিষ্ট একটা অ্যাপ তা সবসময় নজরে রাখে।


দু’জনই হাসলেন। হাসিকে অনুমতি ধরে নিয়ে আমি তাদের ছবি তুললাম। ছবি তুলেই সামনে এগিয়ে গেলাম ও তাদের উদ্দেশ করে বললাম: ‘আসসালামু আলাইকুম।’ প্রবীণ ভদ্রলোকের মুখের হাসি আরও বিস্তৃত হলো, তিনি অনেকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘মুসলিম?!’ আমি মাথা নেড়ে হ্যান্ডশেকের জন্য উনার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। ভদ্রলোকের হাতে দস্তানা পরা ছিল, তিনি দ্রুত সেটা খুলে আমার সঙ্গে করমর্দন করলেন। আমি একটা সুন্দর স্মৃতি নিয়ে গন্তব্যের দিকে হাঁটতে লাগলাম।


তো, সে স্মার্টঘড়ি হাতে পরে বেইজিং ঘুরে বেড়ায় পাবলিক বাসে। চীনে পাবলিক বাসে ভাড়া খুবই কম। আমার মানিব্যাগের ওপর তেমন কোনো চাপ পড়ে না। সে যে সবসময় শর্ত মেনে চলতে পারে, তা নয়। বরং প্রায়ই শর্ত ভেঙে শাস্তি পায়। ঘড়ি পরে বের হওয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মাগরিবের আগে ঘরে ফেরার শর্ত সে প্রায়শই ভাঙে এবং বিনিময়ে পরের তিন দিন পাবলিক বাসে চড়ার অধিকার হারায়।


এভাবেই চলছে। পাবলিক বাসে চেপে বেইজিংয়ের নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করা, নতুন নতুন জায়গার অনুসন্ধান করা। প্রাপ্ত নতুন তথ্য সে নিয়মিত আমাদের সঙ্গে শেয়ারও করে; বেইজিং সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়ে। নিংসিয়া ভ্রমণে এসে আমিও দলের অন্যান্যের সঙ্গে বাসে চেপে ঘুরেছি; আধা ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টার পথ; এক শহর থেকে আরেক শহরে; একই শহরের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। পার্থক্য শুধু একটাই: ছেলে পাবলিক বাসে চড়ে, আর আমরা ভাড়া-করা-বাসে ঘুরেছি।


১২ আগস্ট ২০২৫, ছিল চীনের নিংসিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে আমাদের অষ্টম তথা কার্যত শেষ দিন। চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এবং বেইজিংয়ের অন্যান্য গণমাধ্যমের একদল সাংবাদিককে নিয়ে এই ‘আমরা’। এরই মধ্যে নিংসিয়ার সর্বমোট ৫টি শহরের সবকটি আমাদের দেখা হয়ে গেছে। আমাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার একমাত্র বাহন ছিল ওই বাস। ১২ আগস্ট সকালেই আমরা চুংওয়েই শহরের ‘তাঁবু-হোটেল’ ছেড়ে আসি আমাদের শেষ গন্তব্য উচুং শহরে। এদিনও আমরা কয়েকটি দর্শনীয় জায়গায় গেছি, নতুন জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও