পিসি বিল্ডিংয়ের সময় মনে রাখতে হবে যে ৪ বিষয়
নিজের কাজ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কম্পিউটারের আলাদা আলাদা অংশ যেমন প্রসেসর, র্যাম, গ্র্যাফিকস কার্ড, মাদারবোর্ড, স্টোরেজ, পাওয়ার সাপ্লাই, কেস ইত্যাদি কিনে একত্র করে পুরো কম্পিউটার তৈরি করা হলো পিসি বিল্ডিং। অনেকেই এখন নিজস্ব প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সবচেয়ে উপযুক্ত কম্পিউটারের জন্যই পিসি বিল্ড করেন। এতে কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও ভবিষ্যতে পরিমার্জনের সুযোগ থাকে বেশি। তাই পিসি বিল্ডিংয়ের চারটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা—
সঠিক র্যাম নির্বাচন: পিসি তৈরির সময় অনেকেই র্যাম নিয়ে তেমন ভাবেন না। মনে করেন, যেকোনো ডিডিআর৫ র্যামই চলবে। কিন্তু সঠিক র্যাম নেয়া কার্যক্ষমতা ও অর্থের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এএমডি রাইজেন ৭০০০ বা ৯০০০ সিরিজের প্রসেসরের সঙ্গে ৬০০০ মেগাহার্টজ র্যাম সবচেয়ে উপযোগী। এ গতির র্যাম ব্যবহার করলে কম্পিউটার দ্রুত ও স্থিতিশীলভাবে কাজ করে এবং বাড়তি গতি পাওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ‘ওভারক্লকিং’ (নির্ধারিত স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে চালানো) করতে হয় না। অন্যদিকে ইন্টেল প্রসেসরে সাধারণত বিভিন্ন গতির র্যাম সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই এক্ষেত্রে বেছে নেয়ার সুযোগ একটু বেশি।
র্যামের ধারণক্ষমতা: সাধারণ ব্যবহার বা পুরনো প্রজন্মের গেমের জন্য ১৬ জিবি যথেষ্ট, নতুন ও চ্যালেঞ্জিং গেমের জন্য ৩২ জিবি র্যাম নেয়াই ভালো বলে মনে করেন পিসি বিশেষজ্ঞরা। কনটেন্ট তৈরি, ভিডিও এডিটিং বা থ্রিডি মডেলিংয়ের মতো কাজের জন্য ৬৪ জিবি র্যাম ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
লিকুইড কুলারের বদলে এয়ার কুলার কেনা: প্রসেসর বা অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠাণ্ডা রাখতে লিকুইড (এআইও) কুলার ব্যবহার করেন অনেকে। তবে এগুলো সাধারণত বেশি ব্যয়বহুল ও ভালো এয়ার কুলারের তুলনায় তেমন সুবিধাও দেয় না। এআইও কুলার সাধারণত অনেক জায়গা নেয়, ফলে কেসের ভেতর অন্যান্য অংশে পৌঁছানো ও রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে যেতে পারে। তুলনামূলক ভালো এয়ার কুলার সাধারণত পিসির কেসে সহজেই বসানো যায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করাও তুলনামূলকভাবে সহজ।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট নির্বাচনে সতর্কতা: পিসির প্রতিটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (পিএসইউ) খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি ছোট নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই পিসির সব অংশের বিদ্যুৎ চাহিদার ২০-৩০ শতাংশ বেশি সক্ষমতার পিএসইউ নেয়া ভালো।