নমনীয় এনসিপি, নির্বাচন–গণভোট একই দিনে হলেও মেনে নেবে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮

গণভোটের সময় নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান এখন পর্যন্ত অনেকটাই নমনীয়। দলটির একাধিক সূত্র বলছে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলেও তারা মেনে নেবে। আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করার ক্ষেত্রেও তাদের আপত্তি নেই।


তবে এনসিপির দাবি, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে। তিনি আদেশ জারি করার আগে তা জাতির সামনে উন্মুক্ত করবেন। সেই আদেশ দেখার পর সনদে স্বাক্ষর করা না করা বা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি।


জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মুখোমুখি অবস্থানে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিএনপি চায় জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হোক। অন্যদিকে জামায়াতের চাওয়া, জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বর মাসে গণভোট হোক। বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা নিজেদের অবস্থানের পক্ষে অনড় রয়েছেন। অন্যদিকে গণভোট কখন হবে—এই প্রশ্নে এনসিপির অবস্থান বিএনপি ও জামায়াতের মতো অনমনীয় নয়। 


এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণভোটের সময় নিয়ে এনসিপি রিজিড (অনমনীয়) নয়, তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে হলে ভালো হবে বলে মনে করি আমরা।’


আদেশ জারি নিয়ে এনসিপির দুই যুক্তি


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পরিবর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে আদেশ জারি করার বিষয়ে এনসিপির দিক থেকে দুটি যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে এই আদেশ জারি করা হবে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সেই অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করেন না। দ্বিতীয়ত, আইনগতভাবেও তিনি (রাষ্ট্রপতি) এই আদেশ জারি করতে পারবেন না। 


দ্বিতীয় কারণটির ক্ষেত্রে এনসিপির নেতাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা-সম্পর্কিত বর্তমান সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি এমন কোনো অধ্যাদেশ জারি করতে পারবেন না, যা এই সংবিধানের কোনো বিধানকে পরিবর্তন বা রহিত করে। কিন্তু জুলাই সনদে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের বিষয় আছে। ফলে রাষ্ট্রপতির পক্ষে আদেশ জারি করা সম্ভব নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও