ঢাকায় বাড়ছে চীনের বিদ্যুচ্চালিত বাহনের দাপট
ঢাকার বনশ্রী থেকে সদরঘাট যেতে রাইডশেয়ারিং অ্যাপে ভাড়া বাড়াতে বাড়াতে ৭০০ টাকাতেও কোনো গাড়ি চালককে রাজি করাতে পারছিলেন না শামীম আহমেদ। ফোনে অনুরোধ, অপেক্ষা, ফের অনুরোধ—সবমিলিয়ে এক ঘণ্টাতেও কাউকে পাওয়া গেল না।
অপেক্ষার এই সময়ে অনেক ইজিবাইক চালকই শামীমকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। একপর্যায়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই তিনি চেপে বসলেন ব্যাটারিচালিত এক ইজিবাইকে; ভাড়াও অর্ধেক—মাত্র ৩০০ টাকা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শামীম বলছিলেন, “গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ওইটুকু রাস্তাই যেন চিরস্থায়ী যানজটের এলাকা। জ্বালানি চালিত গাড়ির চালকরা জানেন, এক ঘণ্টার কমে পৌঁছানো সম্ভব না, তাই কেউ যেতে চান না।
“রাজি হলেও ভাড়া চান দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু ইজিবাইকগুলো তো যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। ভাড়াও কম।”
স্বল্প খরচ, সহজ প্রাপ্যতা আর চলাচলের স্বাধীনতার কারণে গ্রাম থেকে শহর—সবখানেই মানুষ ইজিবাইকে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অভিযোগও—অতিরিক্ত বাহন, অদক্ষ চালক আর লাগামহীন গতিতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে পথে।
কেবল ইজিবাইকই নয়, দেশের সড়কে এখন দেখা মিলছে বিদ্যুচ্চালিত চার চাকার গাড়ি, দুই ও তিন চাকার সাইকেল, ডেলিভারি বাইকসহ নানা মডেলের চীনা গাড়ি। এর মধ্যে ইজিবাইক ও রিকশা বাদে অন্য যানকে নিবন্ধন দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- বিদ্যুৎচালিত গাড়ি