বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ কি বিলম্বিত হবে

প্রথম আলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫০

২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি (লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি) থেকে উত্তরণ হওয়ার কথা। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ বিলম্বিত করার বিষয়টি গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহলের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে।


এলডিসি উত্তরণ বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে এবং এগুলো মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন বলে স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিক থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টিও এ পটভূমিতে সামনে চলে এসেছে।


স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত বাজার-সুবিধা, ওষুধশিল্প খাতে মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন চুক্তির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ এবং বিভাজিত সুবিধা (যেমন বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন চুক্তির অধীন বাধ্যবাধকতার প্রলম্বিত বাস্তবায়ন, প্রণোদনা ও ভর্তুকি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি) এবং স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যসক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রদত্ত আর্থিক ও কারিগরি সহায়তাসহ বিবিধ সুবিধা ভোগ করে আসছে।


এলডিসি উত্তরণের ফলে এসব সুবিধা আর থাকবে না; তখন আন্তর্জাতিক বাজারে এসব সুবিধাভোগী খাতসমূহের প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, তা অমূলক নয়। এলডিসি উত্তরণের জন্য আরও কিছু বাড়তি সময় পেলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই, এটা বোধগম্য। কিন্তু এ প্রসঙ্গে চারটি প্রশ্ন গভীরতর পর্যালোচনার দাবি রাখে।


প্রথমত, এলডিসি উত্তরণ পেছানোর এ দাবি পূরণের সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত?


দ্বিতীয়ত, উত্তরণের লক্ষ্যে গৃহীত প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডের বর্তমান অবস্থা কী?


তৃতীয়ত, যদি কয়েক বছরের জন্য উত্তরণ পেছানো সম্ভবও হয় তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সময়টুকু কীভাবে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানো যায়?


চতুর্থত, এলডিসি উত্তরণ পেছানো যদি সম্ভব হয়, তাহলে এই অজুহাতে প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডে অবহেলার আশঙ্কা আছে কি?


জাতিসংঘের সিডিপি ও ইকোসকের সুপারিশের পটভূমিতে ২৪ নভেম্বর ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এটা কার্যকর হওয়ার কথা ২৪ নভেম্বর ২০২৬ সালে (কোভিডের কারণে সব এলডিসির উত্তরণ দুই বছর বিলম্বে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়)। বাংলাদেশের সঙ্গে কিছু দেশ একই সময়ে এলডিসি উত্তরণ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।


এলডিসি উত্তরণ পেছানোর যুক্তি ও যৌক্তিকতা


গত সরকারের আমলেই বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এলডিসি উত্তরণ কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এলডিসি উত্তরণের সময় আরও কাছে আসার পটভূমিতে এ দাবি বর্তমানে আরও জোরালো হচ্ছে; যদিও কথাটি হওয়া উচিত: ‘সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করার দাবি’। কারণ, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের, বাংলাদেশ সরকারের নয়। সরকার কেবল আবেদন করতে পারে।


সাম্প্রতিককালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘উত্তরণ যথাসময়ে হবে’ পূর্বঘোষিত এ অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে বলে মনে হয়। কিছুদিন আগে বাণিজ্যসচিব বলেছেন, যদি উত্তরণ তিন বছরের মতো পেছানো যায়, তা দেশের জন্য ইতিবাচক হবে। প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক জাতিসংঘ সফরের সময় বাংলাদেশের এলডিসি প্রস্তুতির আলোচনার প্রাসঙ্গিকতায় উত্তরণ পেছানোর আবেদনের সম্ভাবনার বিষয়টি আবার উঠে এসেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও