
ফুড অ্যালার্জির পরীক্ষা করানো কেন জরুরি?
আজকাল প্রায় সবারই এক সাধারণ সমস্যা শরীরে অ্যালার্জি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে হওয়া অ্যালার্জি বা ফুড অ্যালার্জি এখন ক্রমেই বাড়ছে। খাবারে অ্যালার্জি মোটেও সাধারণ বিষয় নয় বরং এটি শরীরের জটিল প্রতিক্রিয়া। কেউ দুধ খেলে বমি করেন, কারও চিংড়ি খেলেই গায়ে র্যাশ ওঠে; কারও বেগুনে গলা চুলকায়, আবার কারও ইলিশ খেলেই বুক জ্বলে। এসবই হজমের সমস্যা নয় বরং অ্যালার্জিরই লক্ষণ।
অনেকেই ভাবেন অ্যালার্জি মানে কেবল হাঁচি-কাশি বা ত্বকের প্রতিক্রিয়া, কিন্তু বাস্তবে ফুড অ্যালার্জির লক্ষণ অনেক গভীর ও বৈচিত্র্যময়। আর এ বিষয়ে অসচেতনতা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ফুড অ্যালার্জির নানা ধরন
নানা রকম খাবার থেকেই অ্যালার্জি হতে পারে। আপনার কাছে যা সুখাদ্য, অন্যের কাছে তা-ই ভয়ের কারণ। যেমন দুগ্ধজাত খাবারের ক্যালশিয়াম হাড়ের জন্য ভালো। অনেকের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারেই অ্যালার্জি থাকে যা ‘ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স’ বলা হয়। দুধ হজম করতে যে উৎসেচক জরুরি সেই ল্যাক্টোজ তৈরিই হয় না শরীরে।
আরও একরকম অ্যালার্জি হল গ্লুটেন সেনসিটিভিটি। আটা, ময়দা বা দানাশস্য খেলে অ্যালার্জি হয়। গম, বার্লি ও বেশ কিছু দানাশস্য, বাদাম থেকেও হতে পারে গ্লুটেন অ্যালার্জি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ফুড অ্যালার্জি