
রাসায়নিকে অসহায় ফায়ার সার্ভিস
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, অগ্নিদুর্ঘটনাস্থলে কোন ধরনের রাসায়নিক আছে, তার প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে অনেক সময় বিপদে পড়েন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের কাছে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, প্রশিক্ষণের ঘাটতিও রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের চারজন ফায়ার ফাইটার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁদের তিনজন। এ ঘটনাটি আবারও রাসায়নিক অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সীমাবদ্ধতাকে সামনে নিয়ে আসে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কসমিক ফার্মা নামের একটি রাসায়নিকের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন আরও অনেকে। এ ক্ষেত্রেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- অগ্নিকাণ্ড
- রাসায়নিক পদার্থ