ফোন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭

‘হ্যালো, জেলখানা থেকে বলছি। আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।’ গত ১ জুলাই একটি নম্বর থেকে ফোন করে এভাবেই একজন কথা বলেন গৃহবধূ রোকেয়া বেগমের সঙ্গে।


এ সময় পাশ থেকে আরেকজন তার স্বামী বলে কাঁদতে কাঁদতে রোকেয়াকে বলেন, তাকে কারাগার থেকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে। বাঁচাতে হলে খরচপাতি দিতে হবে ডিবিকে। এরপর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) কয়েকটি নম্বর দেওয়া হয় রোকেয়াকে। সেসব নম্বরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাঠালেও স্বামীর দেখা পাননি রোকেয়া।


সম্প্রতি এমন অভিনব প্রতারণার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক ঘটনায় ভয়, মিথ্যা তথ্য এবং আতঙ্কগ্রস্ত করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব প্রতারক ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। কারণ বেশিরভাগ ভুক্তভোগী আইনের দ্বারস্থ হতে চান না।


তবে রোকেয়া বেগম ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় গেলে একটি লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়। এছাড়া টাকা হারানোর বিষয়ে সাতটি পৃথক জিডি নেওয়া হয়। ঘটনার চার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতারকদের শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।


ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা। তার স্বামী মোক্তার হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মামুন নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন। প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর জামিন পান মোক্তার। তিনি যখন কারাগারে ছিলেন তখনই এই প্রতারণার শিকার হন তার স্ত্রী।


রোকেয়া বেগমের করা সবগুলো জিডির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জিডির ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলোর বিপরীতে সাতটি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমার থানা এলাকার না হওয়ায় আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি সিআইডিতে পাঠিয়েছি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও