
পাল্টা শুল্কের বড় অংশ এখনো বহন করছে কোম্পানিগুলো: আইএমএফ
মার্কিন ও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্কের বড় অংশ বহন করছে। তবে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর পণ্যের চাহিদা এখনো কম। সে কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতিতে মিশ্র চিত্র দেখা যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে বহুজাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজাক গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে এই ব্রিফিংয়ে জুলি কোজাক বলেন, পাল্টা শুল্ক–সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যেও বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বছরের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে স্থিতিশীল অবস্থা দেখতে পেয়েছি। তবে এখন আমরা বিশ্বব্যাপী মন্দার সংকেত দেখতে শুরু করেছি। মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চিত্র কিছুটা মিশ্র।’
বহুজাতিক সংস্থাটির কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলি কোজাক বলেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তবে চীনসহ কিছু এশীয় দেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও কম। এটি রপ্তানি চাহিদার ওপর শুল্কের প্রভাবকে প্রতিফলিত করছে।
কোজাক আরও বলেন, কোম্পানিগুলো পাল্টা শুল্কের একটা অংশ বহন করছে। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত রয়েছে। এটি কত দিন স্থায়ী হবে, তা একটি প্রশ্ন।