কাতারের আকাশে সেই রাতের নীরবতা হঠাৎই ভেঙে গেল এক ভয়ংকর বিস্ফোরণের গর্জনে। দোহায় হামাসের এক শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ যেন শুধু একটি বাড়ি নয়, ভেঙে দিল গোটা মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা-সমীকরণের দেয়াল। কাতার—যে নগরী এত দিন কূটনৈতিক আলোচনার মঞ্চ ছিল, শান্তির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করত, সেই নগরীর বুকেও যদি ইসরায়েলের আগ্রাসী শক্তি পৌঁছে যায়, তবে প্রশ্ন জাগে: সত্যিকার শত্রু কে?
দশকের পর দশক ধরে উপসাগরীয় শাসকেরা ইরানকে ভয়ের কেন্দ্র বলে বিবেচনা করেছেন। ইরানের সীমান্ত অতিক্রমী প্রভাব, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর আঞ্চলিক মিত্রগোষ্ঠীকে দেওয়া সহায়তা—সবকিছুই যেন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দোহায় সেই ক্ষণিক বিস্ফোরণ যেন চোখের সামনে নতুন এক বাস্তবতা উন্মোচন করল। ভীতির কেন্দ্রে ইরান নয়—বরং আরও কাছে, আরও প্রবল, আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।