আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইন–শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৩ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ওই বৈঠকে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘মুজিববাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে এবং এদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দুর্গাপূজায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে গত রোববার অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১৪তম সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অপরাধীরা গ্রেপ্তারের পর যাতে সহজে জামিনে ছাড়া না পায় সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়—রিকশা শ্রমিক, চাকরিচ্যুত বিডিআর ও আনসার সদস্য, পল্লি বিদ্যুতের কর্মীদের আন্দোলন, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, নার্স, আয়ুর্বেদিক ডাক্তার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, চা শ্রমিক এবং বেক্সিমকোসহ গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।