You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ডাকসু: ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকায় ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির আগেই ‘ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর দেওয়া’ এবং নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ‘ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার সরবরাহসহ’ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল।

সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান আবিদ।

আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিলেও প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং কিছু গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের কারণে ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’।

তিনি বলেছেন, ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকায় ‘ভোট কারচুপির সুযোগ তৈরি হয়’। এতে হাজারো শিক্ষার্থীর ‘ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ছয় বছর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট হয়েছে উৎসবের আমেজে, শান্তিপূর্ণভাবে; যেখানে প্রায় ৪০ হাজার ভোটারের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।

প্রায় সবকটি হলের ভোটাররা কেন্দ্রীয় ভিপি ও জিএস পদে শিবিরের দুই প্রার্থীকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে মেয়েদের হলগুলোতে শিবিরের প্রার্থীরা পেয়েছেন নজিরবিহীন সমর্থন।

ভোটের লড়াইয়ে শিবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থীরা। তবে কোনো পদেই তারা জয়ের মুখ দেখেননি। সম্পাদকীয় যে তিনটি পদ শিবিরের হাতছাড়া হয়েছে সেগুলোতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪,০৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ৫,৭০৮ ভোট পেয়েছেন।

ভোটের ১৩ দিনের মাথায় কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবিদ বলেন, “আইন ও বিধি অনুসারে বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে।”

আবিদের কথায়, এই নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় একটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন’ হিসেবে ঠাঁই পেতে চলেছে।

“একই সাথে এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অন্যতম স্তম্ভ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পথে ফিরে এসে যথাযথ তদন্তপূর্বক সত্য প্রকাশ করবে।”

এ সময় তিনি ডাকসু নির্বাচনের ১১টি অনিয়ম তুলে ধরেন।

১. ভোটার উপস্থিতির আগেই ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর দেওয়া এবং নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার সরবরাহসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভোটার তালিকা ও সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে আবেদন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

২. ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকায় কারচুপির সুযোগ তৈরি হয়। এছাড়া ছাপানো, বিতরণকৃত, ব্যবহৃত ও ফেরতকৃত ব্যালট পেপারের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। প্রার্থীরা বারবার এ বিষয়ে তথ্য চাইলেও প্রশাসন কালক্ষেপণ করেছে।

৩. নির্বাচনি ব্যালট কোন প্রেসে ছাপানো হয়েছে, তা গোপন রাখা হয়। পরে নীলক্ষেতের এক ছাপাখানায় বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

৪. ভোট গণনা মেশিন ও সফটওয়্যার যাচাই প্রক্রিয়া গোপনে সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রার্থী ও ভোটারদের কাউকে অবহিত করা হয়নি। ফলে ভোট গণনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

৫. প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে পোলিং এজেন্ট নেয়ার কথা থাকলেও ভোটের আগের রাতেই তালিকা প্রকাশ করে অনেক প্রার্থীর প্রস্তাবিত এজেন্টকে বাদ দেয়া হয়। এজেন্ট বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও গোপন রাখা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন