You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নিউইয়র্ক সাবওয়ে কতটা নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন

নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে বা পাতাল ট্রেনকে সিটির প্রাণ বলা চলে। সিটিবাসী সাবওয়ের ওপর যতটা নির্ভর করে, অন্য কোনো পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর তত নির্ভর করে না। বছরে গড়ে এক বিলিয়ন যাত্রী সাবওয়ে ট্রেনে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক সময় সাবওয়ে যাত্রীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছরের তথ্য-পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে সাবওয়েতে হত্যা, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনায় প্রায় ১,৮০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

অর্থাৎ নিউইয়র্ক সাবওয়েতে বছরে গড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৫১টি করে। প্রতিবছর যে একই হারে সাবওয়েতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তা নয়। যেমন ২০২৫ সালের প্রায় নয় মাস কেটে গেছে, সিটি সাবওয়েতে মৃত্যু ঘটেছে তিনটি। গত বছর নিহত হয়েছিল ১০ জন যাত্রী। সংখ্যা কমে এসেছে, এটাই সুখকর। নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দুঃখজনক হলো গত ১০ বছরে নিউইয়র্ক সাবওয়ের দুটি স্টেশনে দুজন বাংলাদেশির নিহতের ঘটনা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার আগমুহূর্তে তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের এক কনকনে ঠান্ডার দিনে। জ্যাকসন হাইটস রুজভেল্ট এভিনিউ স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ‘সেভেন’ ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন সুনন্দ সেন নামে এক পঞ্চাশোর্ধ্ব বাংলাদেশি হিন্দু ভদ্রলোক। ট্রেন স্টেশনে এসে থামার আগেই এক মহিলা তাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের সামনে ফেলে দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মহিলাকে গ্রেফতার করে। এরিকা মেনেনদেজ নামে ঘাতক মহিলা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর থেকে তিনি হিন্দু ও মুসলমাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে আসছেন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটিকে তার হিন্দু অথবা মুসলিম বলে মনে হয়েছিল। সুনন্দ সেন নিউইয়র্কে একা বসবাস করতেন। তিনি বিয়ে করেননি বলেও জানা গেছে।

দ্বিতীয় ঘটনায় নিহত হয় সিটির ব্রুকলিনে হান্টার কলেজের চব্বিশ বছর বয়সি বাংলাদেশি ছাত্রী জিনাত হোসেন। ২০২২ সালের ১১ মে রাত ৯টার দিকে জিনাত কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে ইউটিকা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামেন। এ সময় কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক তার কাছে এসে তার ব্যাগ টানাটানি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। মূলধারার মিডিয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যেও জিনাত হোসেনকে হত্যার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দুদিন পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের রিপোর্টে এটিকে বর্ণবিদ্বেষমূলক হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত করে। জিনাত তার বাবা-মার সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে বসবাস করছিলেন। উল্লেখ্য, ব্রুকলিনের ইউটিকার কোনো কোনো এলাকায় কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা অনেক বেশি এবং সেখানে অপরাধের হার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অপরাধ হারের প্রায় দ্বিগুণ। পরস্পরবিরোধী গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময়ে পুলিশ ও নিরীহ সিটিবাসীর নিহতের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।

শুধু হত্যা ও আত্মহত্যা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কারণেই যে নিউইয়র্ক সাবওয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে তা নয়, সিটির হোমলেস বা গৃহহীন লোকজন অনেক সাবওয়ে স্টেশনকে স্থায়ী আবাসে পরিণত করায় যাত্রীদের বিপদের ঝুঁকি বেড়েছে। সিটি প্রশাসন বহু উদ্যোগ নিলেও হোমলেসদের বড় একটি অংশ সাবওয়ে স্টেশন, এমনকি ট্রেনের কম্পার্টমেন্ট দখল করে থাকে। ভীতিদর্শন হলেও দৃশ্যত তারা কারও ক্ষতি করে না।

যদিও এ ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বিপজ্জনক নয়, কিন্তু ঝকঝকে সাবওয়ে স্টেশন ও মনোরম ট্রেন কম্পার্টমেন্টে তারা বেমানান। তারা সর্বক্ষণ নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত বস্ত্র ধারণ করে, নোংরা জিনিসপত্রে ভর্তি কয়েকটি ব্যাগ অথবা কার্ট সঙ্গে রাখে। কোথায় প্রাকৃতিক ক্রিয়াদি সম্পন্ন করে, কী খায়, তারাই জানে। হয়তো তারা নিজেরাও বলতে পারবে না কত বছর তারা গোসল করেনি। এ ধরনের একজন ব্যক্তির আশপাশ দিয়ে যারা অতিক্রম করেন, তাদের অবশ্যই নাক চেপে ধরতে হয়।

অনেক সময় দেখা যায়, কোনো হোমলেস-যার কাছে নোংরা জিনিসপত্রে ভর্তি কোনো ব্যাগ নেই, কিন্তু গায়ে একাধিক জ্যাকেট জড়ানো-অযত্নে বেড়ে ওঠা এলোমেলো জটপাকানো চুলদাড়িওয়ালা হোমলেস কোনোভাবে স্টেশনের প্রবেশপথ ‘টার্নস্টাইল’ ডিঙিয়ে ট্রেনের কোনো কম্পার্টমেন্টে প্রবেশ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর ও বস্ত্র থেকে বোটকা গন্ধ কম্পার্টমেন্টময় ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য যাত্রী-যারা এতক্ষণ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছিল-সহযাত্রীর সঙ্গে কথা বলে, অথবা মোবাইল ফোন স্ক্রল করে।

তারা লাফ দিয়ে আসন ছেড়ে গেট বন্ধ হওয়ার আগেই পড়ি কী মরি দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। তা না হলে পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত তাদের অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়ানো গৃহহীন অসহায় ব্যক্তিটির সহযাত্রী হতে হবে। লোকটি নির্বিকার। কারও দিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। তার চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। নিউইয়র্ক সাবওয়ের একটি কম্পার্টমেন্টে ৪০ থেকে ৪৪ জন যাত্রী বসতে পারে এবং সমসংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়েও যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন