মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে দুটি বেসরকারি স্কুলে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে।
এএ-র মুখপাত্র খাইং থুখা শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, একটি যুদ্ধবিমান থায়েৎ থাপিন গ্রামের পিনিয়ার পান খিন ও আ মাইন থিত প্রাইভেট হাই স্কুলে দুটি বোমা ফেলেছে।
তার দাবি, নিহতদের অধিকাংশই ওই বেসরকারি স্কুলের ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। তবে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি; মূলত এলাকাটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
“নির্দোষ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে আমরা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মতোই শোকাহত,” টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এএ, যারা হামলার জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে।
রাখাইনে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ওয়াই হুন আং বলেন, নিহতরা ওই স্কুলগুলোর হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। এ হামলায় আশপাশের অন্তত ছয়টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছে ২১ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রাতে শিক্ষার্থীরা যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন একটি সামরিক বিমান দুটি ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা নিক্ষেপ করে । তারা ধ্বংসস্তূপ ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি ও ভিডিওও প্রকাশ করেছে।