সংকটে নেপাল, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সহসা কি আসবে?

ঢাকা পোষ্ট নেপাল ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৩

২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজতন্ত্রের পতন হয়। এই পতনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণে একের পর এক ঝাঁকুনি খেতে থাকা নেপালে অবশেষে তারুণ্যের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন হলেও রাজনীতিবিদদের মধ্যে দুর্নীতির আধিক্য নেপালের সাধারণ মানুষকে কতটা হতাশ করেছে।


এর জবাব দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। তবে এখানে কথা উঠছে এই তরুণ প্রজন্ম আসলে রাষ্ট্রাচার এবং দুর্নীতির বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত সচেতনবোধ থেকে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়েছে, নাকি তারা অন্য কারও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেছে।


ইতিমধ্যে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো সবসময় রাজনীতির বাইরে থাকা নেপালের সেনাবাহিনী বর্তমান এই ক্রান্তিকালীন সময়ে রাজনীতির প্রধান অনুঘটক হয়ে কাজ করছে। জেন-জি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনে সরকারের পতন হলেও পতনপরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি এই দুর্নীতিবিরোধী একটি সফল আন্দোলনের পরবর্তী প্রক্রিয়াকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।


কে হবেন নতুন সরকারপ্রধান, কোন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আগামী দিনগুলোয় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, এ নিয়ে তাদের মতপার্থক্যের জেরে কেউ কেউ এটাও মনে করছেন কাঠমুন্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ (Balendra Shah), একাধিক ত্রিশোর্ধ্ব মোটিভেটর, নেপালে সেনাবাহিনী কিংবা পতিত রাজতন্ত্র–সবকিছুই তরুণ প্রজন্মের পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে। 


তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্তমান এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বেশিরভাগ মানুষের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki), যিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন এবং তার দায়িত্বপালন সময়কালীন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে কারাদণ্ড দিয়ে মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এবং নেপালি কংগ্রেসের জোট সরকারের রোষানলে পড়ে কিছুদিনের জন্য বরখাস্ত পর্যন্ত হতে হয়েছিলেন।


কার্কির পাশাপাশি আরও কিছু জনপ্রিয় নামের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং (Kulman Ghishing), তরুণ নেতা সাগর ঢাকাল (Sagar Dhakal) এবং ধারান শহরের মেয়র হার্কা সামপাং (Harka Sampang)।


বর্তমানে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি। নেপালের গণমাধ্যম বলছে, সুশীলা কার্কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সঙ্গে তিন সদস্যের একটি মন্ত্রিপরিষদ দায়িত্ব পালন করবে। কারা নতুন সরকারের মন্ত্রী হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণের আগপর্যন্ত সুশীলাই সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পর পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করেছেন সুশীলা কার্কি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও