সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা আবশ্যক

জাগো নিউজ ২৪ মো. রহমত উল্লাহ্ প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৬

বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমে বা কারিকুলামে শিক্ষামূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কারিকুলাম অনুসারে নির্ধারিত শ্রেণির নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের বিষয়/অধ্যায় পাঠদান চলাকালে বা সমাপ্তিতে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিক্ষা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। নির্ধারিত পাঠের অধ্যয়ন ও অনুশীলন দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির কতটুকু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা যাচাই করার উপায় হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন।


পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করেই জানা যায় শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি আছে কিনা, ঘাটতির পরিমাণ কতটুকু, কোন ক্লাসে কে পড়ার উপযোগী। ঘাটতি চিহ্নিত করা গেলেই সে ঘাটতি পূরণের জন্য নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এটি অনেকটা রোগ নির্ণয়ের মতই। রোগ নির্ণয় ভুল হলে, ত্রুটিপূর্ণ হলে, অসম্পন্ন হলে যেমন সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব নয়, রোগী সুস্থ-সবল করা সম্ভব নয়; তেমনি শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে সেটি কাটিয়ে ওঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথভাবে শিক্ষা মূল্যায়ন তথা পরীক্ষা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যত দ্রুত শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিত করা যায় তত দ্রুত দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং অধিক সফলতা অর্জন করা যায়। পাঠদানের ও মূল্যায়নের দুর্বলতার কারণে শিখন ঘাটতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপরের ক্লাসে উঠতে থাকলে পরবর্তীতে এ ঘাটতি আর পূর্ণ করা সম্ভব হয় না অনেকের ক্ষেত্রেই।


আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়নের ওপর ভরসা করে একজন শিক্ষার্থীকে টানা ১০ বছর পর্যন্ত উপরের ক্লাসে উঠতে দেওয়া হলে অর্থাৎ প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেতে দেওয়া হলে সেটি কতটা যৌক্তিক হবে, মঙ্গলজনক হবে তা গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখা উচিত। যেখানে আমাদের দেশের গ্রামে, শহরে, উপশহরে অবস্থিত কেজি স্কুল, প্রাইভেট স্কুল, সরকারি স্কুল, বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা, বাংলা মাধ্যম স্কুল, ইংলিশ ভার্সন স্কুল ইত্যাদির পরিবেশ, অবকাঠামো, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষার মান, সহশিক্ষার মান, মূল্যায়নের মান, সব ক্ষেত্রেই আকাশ-পাতাল ব্যবধান এবং যেখানে হাজার হাজার অনুমোদনহীন স্কুল-মাদ্রাসা অন্য স্কুল-মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করায়, সরকারি পরীক্ষা দেওয়ায়; সেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে অর্জিত ও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জাতীয় মান নির্ধারণ শুধু প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়নের মাধ্যমে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।


বর্তমানে সারাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করে না, ঠিকভাবে লেখাপড়া করে না, শিক্ষকদের মান্য করে না, সকল পরীক্ষা দেয় না, দিলেও পাস করে না; তথাপি প্রমোশন চায়, পায়!! অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষকগণ প্রমোশন দিতে বা গ্রেট বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন। অপরদিকে শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা ও প্রতিষ্ঠানের অনুমতি/ স্বীকৃতি বজায় রাখার জন্য কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী ধরে রাখতে হয়। অথচ এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে শিক্ষার্থীদের কড়াকড়ি করা হলে, পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন করা হলে, নম্বর বেশি দেওয়া না হলে, উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া না হলে, অন্য স্কুলে বা মাদ্রাসায় চলে যায়। তখন শিক্ষকগণের বেতন বন্ধ হওয়ার ও চাকরি চলে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ওই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেওয়ার জন্য, ভালো ফলাফল দেখানোর জন্য, শিক্ষা মূল্যায়নে ব্যাপক অনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করেন! আমাদের দেশে এমন অভিভাবকের সংখ্যাও কম নয় যারা সন্তানদের ক্লাসে ভালো শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিলেই খুশি হন, ভালো মনে করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও