আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭

‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়/আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়/ধূলির ধরা বেহেশতে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ/আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।’ বিশ্ননবি ও শ্রেষ্ঠনবির (সা.) ভালোবাসায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কতই না চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন তার অভিব্যক্তি। আসলে বিশ্বনবীর আগমন ছিল বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ।


এই মহান রাসুল সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা এই ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘আর আমি তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না’ (সুরা সাবা: ২৮)।


শ্রেষ্ঠনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অতুলনীয় জীবনাদর্শ অবলম্বনই আমাদের একমাত্র মুক্তির পথ। তিনি (সা.) সব বিষয়ে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। প্রতিবেশীর অধিকারের বিষয়ে মহানবি (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। মহানবি (সা.) বলেছেন, প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা অনেক বড় একটি নৈতিক গুণ। হজরত জিব্রাঈল (আ.) সর্বদা আমাকে প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করার তাগিদ দিয়েছেন, এমনকি আমার ধারণা হয়, সে তাকে আবার উত্তরাধিকারীই না বানিয়ে দেয়। প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব এত বেশি।


এরপর রয়েছে শাসকের আনুগত্য। এ সম্পর্কে তিনি সবসময় তাগিদ দিয়েছেন আর বলেছেন, শাসকের আনুগত্য করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য আর উন্নত নৈতিকতার এটিই দাবি আর সুনাগরিকের হওয়ার দাবি হল, নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আনুগত্য কর। যদি কোনো কৃষ্ণাঙ্গ কৃতদাসও তোমাদের আমির নিযুক্ত হয় তাহলে তার আনুগত্য কর, এরপর যে দেশে বসবাস করছ, যেখানকার নাগরিক, সেদেশকে ভালোবাসা সম্পর্কে বলেছেন, ‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’। এজন্য যেখানে এই নৈতিক চরিত্রের দাবি হল, নিজ কর্মকর্তাদের আনুগত্য করা আর স্বদেশকে ভালোবাসা সেখানে স্মরণ রেখ, এ বিষয়গুলো ইমানের অঙ্গও বটে। এজন্য একজন মুসলমানকে, যে দেশেই সে বসবাস করুক না কেন- দেশীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখে বসবাস করা উচিত।


মহানবি (সা.) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে যখনই কোনো জাতির কোনো সম্মানিত ব্যক্তি আসবে তাকে সম্মান করো’ (জামিউল মাসানিদ ওয়াল সুনান, ৮ম খণ্ড, পৃ: ৩৫৩)


হজরত রাসুল করিম (সা.) সম্পর্কে একথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, তিনি কোনো জাতির দূতকেই কোনরূপ কষ্ট দিতেন না। (সহিহ বোখারি) বরং তিনি তার শেষ দিনগুলোতে ওসিয়্যত হিসেবে এই তাগিদ দিয়েছিলেন, তোমাদের কাছে যখনই কোনো জাতির কোনো প্রতিনিধি আসেন তখন তাকে উপহার-উপঢৌকন ইত্যাদি দিও, যেভাবে আমি দিয়ে থাকি। (সহিহ বুখারি)
মহানবি (সা.) বিশ্ববাসীর সংশোধনের কাজ করেছেন। যেখানে না কোন স্কুল ছিল আর না-ই মাদ্রাসা। তিনি বাড়িতে উঠা-বসা, শয়ন-জাগরণ, কথাবার্তা বলায় এবং জ্ঞানার্জনের শিষ্ঠাচার থেকে আরম্ভ করে দেশীয় এবং জাতীয় আর পৃথিবীতে রাজত্ব করার সকল নিয়ম-নীতি অত্যন্ত স্নেহ ও ভালোবাসার সাথে শিখিয়েছেন। মক্কা-মদিনার ছোট-ছোট বাহ্যত দরিদ্র ও অনুন্নত জনবসতিতে মহানবির হাতে শিক্ষা প্রাপ্তরা নিজেদের যুগে ইরান, রোম, মিশর, সিরিয়া আর দজলা ও ফুরাত নদীর তীরে বসবাসকারীদের অজ্ঞতা ও নিষ্পেষণ সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে তাদের মধ্যে জ্ঞান ও তত্ত্বের এমন ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেছেন যা পরবর্তীতে শত শত বছর ধরে গোটা মানবজাতিকে সরল-সুদৃঢ় পথ প্রদর্শনের কাজ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও