মামদানি: নির্ঘুম নিউ ইয়র্কে নবজাগরণের বাঁশিওয়ালা

বিডি নিউজ ২৪ আমেরিকা / যুক্তরাষ্ট্র আলমগীর খান প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২১

নিউ ইয়র্কে মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানি যেন এক অসাধারণ রাজনৈতিক বিপ্লবের নির্মাতা। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী, ব্যয়বহুল এবং সবচেয়ে বেশি ধনবৈষম্যের শহর —নিউ ইয়র্ক। সেই নগরে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জিতেছেন উগান্ডায় জন্ম নেওয়া মুসলিম বংশোদ্ভূত মামদানি। বিষয়টি যত সরল শোনায়, ঘটনাপ্রবাহ মোটেই ততটা সহজ নয়। বিশ্বের ডান ও বাম—দুই ধারার সংবাদমাধ্যমই মামদানির এই বিজয়কে ব্যাখ্যা করছে নানা বিশেষণে: ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’, ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’, ‘সমাজতান্ত্রিক উত্থান’, ‘নতুন তারকা’ ইত্যাদি। এমনকি সকলে এ কথাও স্বীকার করছেন যে, আসন্ন নভেম্বরে তিনি মেয়র নির্বাচনে জিততে না পারলেও, অগণিত বাধার পাহাড় টপকে তার এই বীরোচিত উত্থান আমেরিকার সামগ্রিক রাজনীতিতে রেখে যাবে স্থায়ী দাগ, দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব। ফলে মামদানি ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত, চব্বিশ ঘণ্টার নির্ঘুম নগরে (দ্য সিটি দ্যাট নেভার স্লিপস) অনন্য এক গণনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।


মামদানিকে প্রতিহত করার জন্য ধনিকগোষ্ঠি ও জায়োনবাদীরা বিপুল অর্থব্যয় ও হুমকিসহ সকল কৌশল প্রয়োগ করছে। এমনকি বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিমান ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত ’কমিউনিস্ট মামদানি’কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর মামদানি জবাবে বলেছেন, “আমি হচ্ছি ট্রম্পের রাত্রিকালীন দুঃস্বপ্ন।” এমনকি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন তাদের ভোটও জিতে নিচ্ছেন মামদানি। অন্যদিকে ইসরায়েলি শহর তেল আবিবের পর নিউ ইয়র্ক হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ইহুদি অধ্যুষিত শহর। সেখানকার ট্রাম্পপন্থী ও জায়োনবাদীরা সকল অপকৌশল প্রয়োগ করছে তাকে ঠেকানোর জন্য। তিনি নাকি হামাসের সমর্থক, এমনকি বিশ্বব্যাপী ইন্তিফাদার প্রচারক ও জিহাদি। তারপরও গাজায় ইসরায়েল সংঘটিত গণহত্যার সরাসরি বিরোধিতা ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেও তিনি শহরটিতে ব্যাপক সমর্থন জয় করে নিচ্ছেন।


ধর্ম-জাতি-গোষ্ঠি নির্বিশেষে তরুণদের কাছে তারকাতুল্য এই ৩৩ বছর বয়সী রাজনৈতিক নেতা— মামদানি। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তার নির্বাচনি সব প্রতিপক্ষ এখন একজোট হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মেয়র পদপ্রার্থী জিম ওয়ালডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং একজন বাদে সব প্রার্থীকে একইভাবে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান করছেন অপ্রতিরোধ্য মামদানিকে ঠেকানোর জন্য। তিনি সতর্ক করছেন সবাইকে এই বলে যে, এর অন্যথা হলে এক ট্রোজান ঘোড়া দখল করে নেবে তাদের প্রিয় শহর। মামদানি কেবল ট্রাম্পেরই নয়, নিউ ইয়র্কের সব দুর্নীতিগ্রস্ত, ধনিকগোষ্ঠির পা-চাটা ও যুদ্ধবাজদেরই রাত্রিকালীন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা এতে ভীত তো ননই, বরং উপভোগ করছেন প্রতিপক্ষগুলোর এসব সার্কাস। তাকে সমর্থন করা বিখ্যাত রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন বার্নি স্যান্ডার্স, এজিাবেথ ওয়ারেন, আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাশিয়ো-কোর্তেজ, এমনকি মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যাড ল্যানডার এবং জুয়িশ ভয়েস ফর পিস অ্যাকশন ও দ্য জুয়িশ ভোটসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পক্ষ।


৪ নভেম্বরের নির্বাচনে জিতলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভারতীয় চলচ্চিত্রকার মীরা নায়ার ও ভারতীয়-উগান্ডান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানির পুত্র জোহরান মামদানি হবেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। আবার তিনি হবেন একশো বছর পর আবার নিউ ইয়র্কে আরেক সমাজতান্ত্রিক মেয়র এবং একশো বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী।


কেমন করে তা সম্ভব হলো সেটি কৌতূহলোদ্দীপক। কেননা তিনি ছিলেন নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির একেবারেই অপরিচিত একজন সদস্য। সেই অবস্থা থেকে নিউ ইয়র্কের বাঘা বাঘা বর্তমান ও সাবেক মেয়রদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে মাত্র আট মাসের মধ্যে বিশ্বের সবচাইতে পরিচিত মুখগুলোর একটিতে পরিণত হওয়াটা বিস্ময়ের। পত্রপত্রিকায় তার এ নির্বাচনি সাফল্যের কারণ হিসেবে নানা বিষয় উঠে এসেছে। নির্বাচনি প্রচারণার ভিডিওতেই তিনি নতুনত্ব ও চমক এনেছেন। টার্গেট করেছেন নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ এশীয় বাসিন্দাদের যাদের সংখ্যা শহরটিতে উল্লেখযোগ্য, প্রচারণায় ব্যবহার করছেন ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, বাংলা ও অন্যান্য ভাষা। তার সঙ্গী এখন ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক যারা ইতিমধ্যে ১৬ লাখ দরোজায় কড়া নেড়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও