
সাংস্কৃতিক চর্চার হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে পারবে ডাকসু?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশকের ছাত্রদের একজন বুদ্ধদেব বসু। ১৯২৭ সালে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন, থাকতেন জগন্নাথ হলে। সেসময় তার সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘বাসন্তিকা’ বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন তুলেছিল।
১৯৯১ সালে ডাকসুর একটি প্রকাশনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান লিখেছিলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি আবাসিক হল স্থাপিত হয়– মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল। হলগুলোই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র। এগুলো ছিল একাধারে ছাত্রদের আবাসস্থল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের আশ্রয় এবং টিউটোরিয়াল-ব্যবস্থার ভিত্তিভূমি।
“শুরুতে ছাত্র সংখ্যা অধিক ছিল ঢাকা হলের। খেলাধুলায় এ হলের খুব নাম ছিল। জগন্নাথ হলের ছাত্র-সংসদের এক কৃতিত্ব ছিল নাট্যাভিনয়, আরেক কৃতিত্ব ছিল তাদের হল-বার্ষিকী ‘বাসন্তিকা’র সাহিত্যমূল্য। এ কথা এখন স্বীকার করা হয় যে, রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা সাহিত্যে যে আধুনিকতা দেখা দেয়, তার সূচনা হয়েছিল ‘বাসন্তিকা’য়।”
ঊনিশশ ষাট ও সত্তরের দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে সাংস্কৃতিক উৎসব, নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন হতে দেখা যেত। নব্বইয়ের দশকেও দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ডাকসুর সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাট্য সংগঠক ম. হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডাকসুতে আমি সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছিলাম ১৯৭২ সালে; তখনো হলকেন্দ্রিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। আমাদের সময়ই ‘অপরাজেয় বাংলা’ তৈরি করা হয়েছে।”
১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী। তিনি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ে শিক্ষকতাও করেছেন।
- ট্যাগ:
- রাজনীতি
- ডাকসু নির্বাচন