‘আমার স্বামীর গুলি লাগছে, দুইটা ছাওয়াক ধরি কীভাবে খাব?’

www.ajkerpatrika.com উত্তরা ইপিজেড, নীলফামারী প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৩

জেসমিন আক্তারের কোলে দেড় মাসের শিশু; দুই বছরের আরেক শিশু শ্বশুরের কাছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ স্বামী শাহীন আলমের শয্যার পাশে বসে আছেন জেসমিন। স্বামীর যন্ত্রণাভরা নিশ্বাসে কাঁপছে তাঁর বুক। দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা জেসমিনের চোখেমুখে। এমন চিত্র দেখা গেল রমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।


জেসমিন আক্তার বলেন, ‘সকালে বাড়ি থাকি ইপিজেডের কোম্পানিতে ডিউটিত গেইছে। যাওয়ার পথে গুলি লাগছে। গুলি লাগি পড়ি গেইছে। নীলফামারী মেডিকেল নিগাইছে। ওটে থাকি রংপুর পাঠাইছে। এটে চিকিৎসা চলোছে। আমার স্বামীর গুলি লাগছে, দুইটা ছাওয়াক ধরি কীভাবে খাব? চাকরি করে, ওই টাকা দিয়া ছাওয়া ছোটক ধরি চলি। এখন আমরা কীভাবে খাব ছাওয়া দুইটাক ধরি?’


শাহীন আলম নীলফামারীর চংড়া কিসামতডাঙ্গী তেলিপাড়া গ্রামের দিনমজুর রজব আলীর ছেলে। তিনি নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে দেশবন্ধু পোশাক কারখানার শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কাজে গেলে এভারগ্রিন কোম্পানির শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন।

আজ বিকেলে রমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শয্যায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শাহীন। পাশে স্ত্রী, বাবা ও স্বজনেরা। একই ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি আছেন ম্যাজেন বিডি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিক শামীম হোসেনও। তাঁর ভাই ইমরান জানান, গুলি তাঁর ভাইয়ের বাম পায়ের মাংসপেশি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। শামীম হোসেনের বাড়ি নীলফামারীর সোনারায়। তিনিও কাজের উদ্দেশে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান।


একপর্যায়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহীন আলম বলেন, ‘অফিস টাইম, গেটে গেছি, যাইতে দিবে না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক সময় কথা-কাটাকাটি, ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়া গেইছে। ইটপাটকেল মারতে মারতে সেনাবাহিনী গুলি ছুড়ছে। গুলি ছোড়ার পর পাশে বন্ধু ছিল; ওরে গুলি লাগছে। পাশে আরেকজন ছিল তাঁর বুকে গুলি লাগছে, মারা গেইছে। আমার ঊরুতে গুলি লাগছে। অপারেশন হইছে; এখনো গুলি বের করার পারে নাই। যতবার অপারেশন করোছে, ততবার আলট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে ডাবল করা লাগছে। এখনো গুলি আটকা, ব্যথায় শরীর খারাপ।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও