
‘গণরুম-গেস্টরুম’: ছাত্রদলের আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের আস্থা কতটা?
ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসছাড়া হওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। তবে ‘গণরুম’ তৈরি করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধ্য করা কিংবা গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিজ্ঞতা এখনও তাজা শিক্ষার্থীদের মনে।
এখন আবাসিক হলে সিট বণ্টনের দায়িত্ব নিয়ম অনুযায়ী হল প্রশাসনের হাতে। গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনাও অতীত।
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে অন্যান্য প্যানেলের মত ছাত্রদলও বলছে, ‘গেস্টরুম ও গণরুম সংস্কৃতি’ ক্যাম্পাসে আর ফিরতে দেবে না তারা।
কিন্তু ছাত্রদলের অতীত ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গত কয়েক দশকে যে দল যখন ক্ষমতায় থেকেছে তাদের ছাত্র সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হয়েছে বিতাড়িত। কিন্তু ‘গণরুম’ আর ‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’ শব্দদুটো সব আমলেই কলঙ্কের মত লেগে থেকেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কপালে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থী আছে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। আবাসন সঙ্কটের কারণে প্রতিটি হলেই সৃষ্টি হয়েছিল ‘গণরুমের’, যেখানে মেঝেতে টানা বিছানা পেতে প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে থাকতে হত। কারা এসব কক্ষে থাকবে তার নিয়ন্ত্রণ থাকত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হাতে।