
বিভুদার জন্য আমার কান্না
গত তিন দিন ধরে চোখের পাতা এক করতে পারিনি। ভেতরটা যেন শূন্য হয়ে গেছে। হৃদয়ের প্রতিটি কণিকা আজও বিশ্বাস করতে পারছে না—আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় আশ্রয়, আমাদের সবচেয়ে বড় ছাতা, সেই বিভুদা হারিয়ে গেছেন চিরতরে।
২২ অগাস্ট সকাল ১০টার দিকে তিনি বের হয়েছিলেন—সাধারণ দিনের মতো, অফিসে যাওয়ার কথা বলে। কে জানত, এটাই হবে তার শেষ প্রস্থান? আমরা ভেবেছিলাম বিকেলে বা রাতে হয়তো ফোন আসবে, কিংবা তিনি ফিরবেন হাসিমুখে। কিন্তু ভাগ্য যে এমন নিষ্ঠুর হতে পারে, তা কোনো দিন কল্পনাও করিনি।
পরদিন, ২৩ অগাস্ট বিকেলে খবর এল—মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায়, বিশাল মেঘনার বুকে ভেসে উঠেছে তার নিষ্প্রাণ দেহ। চোখের সামনে আঁধার নেমে এল। মনে হচ্ছিল, এ যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য, কিন্তু না—এটাই ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বাস্তবতা।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সাংবাদিক
- বিভুরঞ্জন সরকার