শেখ মুজিব সম্পর্কে চার সেলিব্রিটির মূল্যায়ন

যুগান্তর মোবায়েদুর রহমান প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৩৭

১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসার পাটাতন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। এবার তিনি তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করিয়েছিলেন। নিউইর্য়ক থেকে প্রদত্ত ওই বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ১৫ আগস্ট আপনারা অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ প্রভৃতি সংগঠন দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১৫ আগস্ট পালন করবেন। কিন্তু হা হতাস্মি! মুজিব বন্দনা করতে গিয়ে পুত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা যা করতে চেয়েছিলেন, সেটিই কবি জ্ঞানদাসের কবিতার মতো করুণ পরিণতি লাভ করে। কবি জ্ঞানদাসের কবিতার প্রথম চারটি লাইন হলো :


সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু


অনলে পুড়িয়া গেলো


অমিয় সাগরে সিনান করিতে


সকলি গরল ভেল।


সারা বাংলাদেশ খুঁজে মাত্র ৪-৫ জন লোক পাওয়া গেল, যারা দিনের প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবের গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে একজন রিকশাওয়ালা ফুল হাতে নিয়ে গেলে তাকে জনতা পাকড়াও করে এবং পরে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। অবশ্য পরদিন আদালত তাকে জামিন দেন। আরেকজন মহিলা। আরও দুজন ছিলেন। তাদের সম্পর্কে পত্রিকায় কিছু লেখা হয়নি।


এই হলো ১৫ আগস্টের চিত্র। শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন, তার পিতা এখনো বুঝি সেই ’৭১-পূর্ব অবস্থানে আছেন। ১৫ আগস্ট যে করুণ ঘটনা ঘটেছে, তার ফলে বাংলাদেশিদের মনে সিম্প্যাথি গ্রো করেছে। সেটা পুঁজি করে তিনি বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এবং তার নিউইয়র্কপ্রবাসী পুত্র জানতেন না যে, জনগণের মধ্যে শেখ মুজিবের জন্য সেই সফট কর্নার আর নেই। আর নেই বলেই তাদের ১৫ আগস্ট মাঠে মারা গেছে। শেখ হাসিনা ১৫ বছরে সমগ্র রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে যেভাবে ১৫ আগস্ট জাতির বুকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন, সেটি আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। আর এর জন্য তিনি নিজেই দায়ী। দায়ী তার অপশাসন, দুঃশাসন এবং হিমালয় পর্বতসম টাকা পাচার ও দুর্নীতি।


শেখ মুজিবের ওপর শেখ হাসিনা যে দেবত্ব আরোপ করেছিলেন, তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দেবত্বের মুখোশ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার খোলা হাওয়ায় শেখ হাসিনা তো পরের কথা, শেখ মুজিব সম্পর্কেও অনেক কথা বেরিয়ে আসছে। এসব কথা হাসিনা ১৫ বছর ছাইচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জনগণ যেমন সাড়া দেননি, তেমনি এবারও দেননি।


কেন দেননি? সেগুলোই আজ বলব। তবে এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা যুগান্তরের তরফ থেকে কিছু বলছি না। শেখ মুজিব সম্পর্কে কয়েক সেলিব্রিটি কিছু মন্তব্য করেছেন। সেগুলোই তুলে দেব। এসব সেলিব্রিটির মধ্যে আছেন ভারতের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ সহকারী পিএন হাকসার, ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, লব্ধ প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক মরহুম আহমদ ছফা, বিশিষ্ট গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এ চারজন ছাড়া আরও অনেকেই শেখ মুজিবের নেতিবাচক দিক নিয়ে লিখেছেন। সব উদ্ধৃতি দিতে গেলে স্থান সংকুলান হবে না বলে ওই চারজনের মধ্যেই উদ্ধৃতি সীমাবদ্ধ রাখছি। আগামীতে কোনো এক সময় এ সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য দেওয়ার আশা রাখি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও