ঠাকুরগাঁও জেলা: ৮ মাসে ২২০ আত্মহত্যা, নেই মানসিক চিকিৎসা

www.ajkerpatrika.com ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৬

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের কিশোর হাফিজুর রহমান (১৬)। মা-বাবার একমাত্র সন্তান। পড়াশোনার পাশাপাশি হাফিজুর স্থানীয় মসজিদে হেফজ পড়ত। মায়ের সঙ্গে ‘অভিমান’ করে ১৭ আগস্ট ঘরে রাখা কীটনাশক পান করে এই কিশোর। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে।


হাফিজুরের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা। আজকের পত্রিকাকে তার মা বলেন, ‘ও আমাকে একবারও জানাল না কী কষ্টে আছে। যদি জানতাম, বুঝতাম—তাহলে আজ হয়তো বেঁচে থাকত আমার ছেলে।’


এমন ঘটনা শুধু একটি নয়। এমন কান্না ঠাকুরগাঁওজুড়েই শোনা যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা করেছে ২২০ জন। থানা ও উপজেলাভিত্তিক আত্মহত্যার হিসাব বলছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫৮ জন, ঠাকুরগাঁও সদরে ৫৩ জন, রাণীশংকৈলে ২৮ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ২৭ জন, হরিপুরে ২১ জন, ভুল্লি থানায় ২২ জন ও রুহিয়া থানায় ১৪ জন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জিআরও ফরিদ উজ্জামান বলেন, এই আত্মহত্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ গলায় ফাঁস দিয়ে জীবন শেষ করেছে।


পুলিশ বলছে, প্রেমে ব্যর্থতা, মা-বাবার সঙ্গে অভিমান, দারিদ্র্য, ঋণ ও পারিবারিক কলহ এ অঞ্চলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ।


২ আগস্ট হরিপুর উপজেলার সাবেক ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা মর্তুজা আলম (৪৫) স্ত্রীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দেন। কয়েক দিন আগে সদর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও