
বয়স পঞ্চাশে দেহের চর্বি পোড়ানোর খাবার
‘মেটাবলজিম’ বা বিপাকপ্রক্রিয়া বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে। ফলে দেহে বাড়তে থাকে মেদ।
তবে সঠিকখাদ্যাভাসে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
এই বিষয়ে ক্রীড়া-বিষয়ক মার্কিন খাদ্যবিদ কাতকিা টারা কলিংউড ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “বয়স বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই পেশির ঘনত্ব কমে। আর এর মাত্রা কমানো যায় ক্যালরি পোড়ানোর মাধ্যমে।”
নিজেই পঞ্চাশের ঘরে পা দিয়ে বিষয়টা উপলব্ধি করার পর ‘ফ্ল্যাট বেলি কুকবুক ফর ডামিজ’ বইয়ের এই লেখিকা মন্তব্য করেন, “প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন কিছু খাবার যা খেলে পেশি থাকবে দৃঢ়, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দেহকে সারাদিন রাখবে চর্বি পোড়ানোর মেজাজে।”
তার কথায়, “বিপাকপ্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে অতিরিক্ত ডায়েট বা মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। বরং মনোযোগ দিন পুষ্টিকর খাবারের দিকে। সাথে হালকা ব্যায়াম দেহকে রাখবে অটুট।”
মাছ
বয়স পঞ্চাশের পর দৈনিক খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা জরুরি।
কলিংউড বলেন, “ভালো হয় স্যামন মাছ খেতে পারলে। যা প্রোটিনে ভরপুর আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস’য়ের চমৎকার উৎস।”
বেশি বয়সে এই দুই উপাদানের খুবই প্রয়োজন।
টক দই
বিপাকপ্রক্রিয়া বাড়াতে সকালের নাস্তায় রাখতে হবে দই।
“উচ্চ প্রোটিন ও প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ টক দই পেশি সংরক্ষণ এবং পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে। যা কিনা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক”- বলেন এই পুষ্টিবিদ।
ডিম
বহুমুখি খাবার হিসেবে ডিমের কথা আসবেই। আর বয়স পঞ্চাশে এই খাবার অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
কলিংউড বলেন, “প্রোটিনের সাথে মিলবে ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যদি কর্মব্যস্ত থাকতে হয় তবে কয়েকটা ডিম সিদ্ধ রাখতে পারেন সঙ্গে। খিদা পেলে দ্রুত নাস্তা হিসেবে খাওয়া যাবে সহজে।”
নানান ধরনের শাক
পত্রল সবজির মধ্যে পালংশাক, কেইল-সহ নানান ধরনের সবজি খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না। এগুলোতে ক্যালরি যেমন কম তেমনি ‘পাওয়ারহাউজ’ হিসেবে পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখে ও দেহের শক্তি বাড়ায়।”
বাদাম ও বীজ
স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও আঁশের দারুণ উৎস। এগুলো রক্তের শর্করা স্বাভাবিক রাখে আর চর্বি জমা থেকে রক্ষা করে- জানান কলিংউড।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- সঠিক খাবার
- খাদ্যাভ্যাস