ইসলামপন্থীদের আনুকূল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে

প্রথম আলো মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৫

মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব। একই সঙ্গে একজন ইসলামি বক্তা। আগামী নির্বাচন, জোটের রাজনীতি, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ও মতপার্থক্য, শাপলা চত্বর, বিয়ে, সোনারগাঁয়ের ঘটনা, আওয়ামী লীগের পতন থেকে বিএনপির শিক্ষা—এমন নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।


নির্বাচন করবেন?


মামুনুল হক: আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে আগ্রহী না। তবে যদি দলীয় বিবেচনায় এবং জাতীয় প্রয়োজনে নির্বাচন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে আমি নির্বাচন করব।


কোন আসনে চিন্তা করছেন।


মামুনুল হক: আসন হিসাবে তিনটা জায়গায় সম্ভাবনা আছে। একটা হলো ঢাকার মোহাম্মদপুরে (ঢাকা-১৩), যেখানে আমার অবস্থান। আরেকটা হলো আমার জন্মস্থান লালবাগ (ঢাকা-৭) আসনে থেকে। আর ঢাকার বাইরে আরেকটা আসন আছে, সেটা হলো বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসন। যেখানে আমার নানার বাড়ি, যেখানে আমার পারিবারিক নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে।


মোহাম্মদপুর না হয় আপনাদের বাসাবাড়ি আছে, মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু একটা নির্বাচনে জেতার জন্য যে জনপ্রিয়তা প্রয়োজন, বা আপনাদের দলের যে সাংগঠনিক শক্তি অবস্থান থাকা প্রয়োজন, সেটা কি মোহাম্মদপুর, লালবাগে, বাগেরহাটে আছে?


মামুনুল হক: না, আমার একক দলীয়ভাবে সেই পর্যায়ের কর্মী বাহিনী না থাকলেও মোহাম্মদপুরে আমাদের নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আছে। লালবাগে ও মোহাম্মদপুরে উভয় জায়গায় আমাদের দীর্ঘ কার্যক্রমের কারণে এবং আলেম সমাজের ব্যাপক একটা তৎপরতা ঐতিহ্যগতভাবেই আছে। সেই হিসাবে আমাদের রিজার্ভ ফোর্স বেশ বড়সড়, যারা নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক কাজ করতে পারবে। সেই সঙ্গে এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক ইস্যু নিয়ে আমরা নানা সময় কার্যক্রম পরিচালনা করি। সে হিসাবে একটা গণসম্পৃক্ততা বা শক্তি আমাদের আছে।


সে ক্ষেত্রে কি কারও সঙ্গে জোট করতে হবে?


মামুনুল হক: নির্বাচন জোটবদ্ধ হতে পারে। আবার জোটবদ্ধতা ছাড়াও যদি আমরা এককভাবেও নির্বাচন করি, তাহলেও একটা ভালো ফলাফলের আশা করতে পারি।


শোনা যাচ্ছে, বিএনপি আপনাকে মোহাম্মদপুরের আসনটি ছাড়তে পারে। এমন গুঞ্জনও আছে, সরকার এলে আপনাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ রকম কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন?


মামুনুল হক: না, এ ধরনের আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় আমরা বিএনপির সঙ্গে যাইনি এখনো। এমনিতে লোকমুখে এ ধরনের কথা শুনি এবং বিএনপির আগ্রহ আছে তা বুঝি যে, ব্যক্তি হিসেবে কোথাও কোনো আসনে ছাড় দেওয়ার একটা আগ্রহ বিএনপির আছে। এটা বিভিন্ন আলামতে বুঝি। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও