দেশের ভেতরে তিন শ্রেণির ভোটারের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে পোস্টাল ব্যালট।
এক্ষেত্রে অনলাইন নিবন্ধনের সুযোগ দেবে নির্বাচন কমিশন। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসনভিত্তিক ব্যালট পেপার আনা-নেওয়ার কাজটি করা হবে নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে।
ডাক বিভাগ পুরো কাজের তত্ত্বাবধানে থাকলেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসির এডহক কমিটির হাতে, যেখানে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি এরই মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের প্রাথমিক কর্মপদ্ধতি সেরে ফেলেছেন। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারণায় নামতে চায় ইসি।
কোটির বেশি প্রবাসী থাকলেও এবার নিবন্ধন করতে পারবেন কেবল ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরাই। আর নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তফসিল ঘোষণার আগেই।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। এ পদ্ধতি কীভাবে কার্যকর করা যায়, এর একটা খসড়া আমরা করেছি। এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালালে প্রবাসীরা আগ্রহী হবেন এবং উল্লেখযোগ্য প্রবাসী ভোটার পাব বলে আশা করছি।”
এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম বলছেন, এত অল্প সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি, প্রচারণা, পোস্টাল ব্যালট আনা-নেওয়াসহ গণনা, ফল পর্যন্ত কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ।”
তিনি বলেন, “কারিগরি দিকটি যেমন দেখতে হবে, তেমনি পাইলটিং করে চ্যালেঞ্জগুলোও চিহ্নিত করা দরকার। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এগোলে আশা করি ইসি সফল হব।”
যেভাবে ব্যবহার হবে পোস্টাল ব্যালট
প্রবাসীদের ভোট কীভাবে নেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে অনলাইন, প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালট— তিন পদ্ধতিই আলোচনায় ছিল। শেষমেশ পোস্টাল ব্যালট বেছে নেয় কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার নবম কমিশন সভায় দেশে ও দেশের বাইরে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।
“প্রবাসে আমাদের বাংলাদেশি ভোটার যারা আছেন, এবার তাদের ভোটাধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং মাধ্যমটা হবে পোস্টাল ব্যালট।”