You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না—এনসিপি নেতার এ বক্তব্য কেন?

৫ আগস্ট চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানবার্ষিকীতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন নড়েচড়ে বসেছে। তারা প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বেসামরিক প্রশাসনের কৃপাপ্রার্থী হতে হবে না।

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরও নির্বাচনের সময়সীমার বিতর্কটি শেষ হয়েছে বলে মনে হয় না। তিনি যেদিন মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে জানিয়ে দিলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রস্তুত, নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করে দিয়েছি,’ সেদিনই ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছিলেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে তাঁর দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’-এ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘সংস্কার ও নতুন সংবিধান ছাড়া এ নির্বাচন হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মায়েদের বুকে তাঁদের সন্তানদের ফেরত দিতে হবে।’

সংস্কার ও বিচারকাজ শেষ করেই নির্বাচন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা। অবশ্য তাঁর এ বক্তব্য ব্যক্তিগত না দলীয় পরিষ্কার নয়। জামায়াতের মতো এনসিপিও আনুপাতিক ভোটের কথা বললেও সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির সময় নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কিছুটা বেকায়দায় থাকা এনসিপির নেতা–কর্মীদের মনোভাব চাঙা করতে কিংবা অন্যান্য দলের সঙ্গে দর–কষাকষি বাড়াতেও তারা এ কৌশল নিতে পারে।

ভোটের মাঠে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী কে হবে? ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) মাঠে না থাকায় নির্বাচনে জামায়াতই হবে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে এই দুই দলের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জামায়াত ইতিমধ্যে ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে ও প্রচারও চালাচ্ছে। অন্যান্য ইসলামি দলের সঙ্গে জামায়াত নির্বাচনী সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগি করতে পারে। এনসিপি সে সমঝোতায় নিজেকে যুক্ত করবে, না এককভাবে ভোট করবে, তা পরিষ্কার নয়।

অতি আত্মবিশ্বাসী এনসিপির নেতারা কিছুদিন আগেও বলতেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে তাঁরা সরকার গঠন করবেন অথবা প্রধান বিরোধী দল হবেন। এক নেতা তো ভবিষ৵দ্বাণীই করে ফেলেছিলেন, বিএনপি ৯০ থেকে ১০০ আসনের বেশি পাবে না।

জাতীয় যুব সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তাঁরা ছাড় দিলেও জুলাই সনদে ছাড় দেবেন না।’ জুলাই সনদ, বিচার ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রংপুর অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশন এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ চ্যালেঞ্জ এককভাবে ইসির পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটি করতে হবে ইসি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মিলিতভাবে।

জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কিছু দল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এলেও আগামী নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের ২ ধারায় আছে, ‘একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী তিন শত সদস্য লইয়া সংসদ গঠিত হইবে।’ সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রথমে সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বললেও পরবর্তী আলোচনা বর্তমান সংবিধানকে ভিত্তি ধরেই এগোচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে ভোটের বিষয়ে মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিম্নকক্ষের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন